চঞ্চল চৌধুরীকে দেখা যায় বৈচিত্র্যময় সব চরিত্রে। ‘আয়নাবাজী’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ে খেল দেখিয়ে করেছেন বাজীমাত। হুমায়ূন আহমেদের ‘মিসির আলী’ চরিত্রে অভিনয় করছেন ‘দেবী’ চলচ্চিত্রে। এবার তাকে দেখা যাবে ‘হিমু’ রূপে।
হুমায়ূন আহমেদের গল্পে রাজু আলীম নির্মাণ করেছেন ‘রুপার জন্য ভালোবাসা’। আগামী ১৯ জুলাই সন্ধ্যায় হুমায়ূন আহমেদের প্রয়াণ দিবসে প্রচার করা হবে চ্যানেল আইতে।
চঞ্চল চৌধুরী টেলিছবিতে হিমুর চরিত্রে অভিনয় করছেন। রুপার ভালোবাসা পেতে অনশন করেন তিনি। চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘হিমু এবং মিসির আলী দুইটি চরিত্রই আমার ভীষণ প্রিয়। ভার্সিটিতে পড়াকালীন বইগুলো মন্ত্রমুগ্ধের মতো পড়েছি। এখন সেই চরিত্রগুলোতে অভিনয় করছি। পড়ার সুবাদে এসব চরিত্র আগে থেকেই নিজের ভেতর সাজানো ছিল। ফলে খুব সহজেই চরিত্রে টেম্পার ধরতে পেরেছি। রাজু আলীম দারুণ বানিয়েছেন। আশা করি দর্শক দেখে মুগ্ধ হবেন।’
পরিচালক রাজু আলীম ‘রুপার ভালোবাসা’ নিয়ে বলেন, ‘হুমায়ূন আহমেদ আমার একটা ঘোরের নাম। তার বই পড়ে, তার সঙ্গে কাজ করে, আড্ডা দিয়ে আমি তাকে পড়ার চেষ্টা করেছি। তার প্রয়াণ দিবসে কিছু একটা করার তাগিদ থেকেই টেলিছবি বানানো। যদিও হুমায়ূন আহমেদকে সবচেয়ে ভালো পড়েছেন মেহের আফরোজ শাওন। তিনিই সবচে সুন্দর করে হুমায়ূন আহমেদের গল্পগুলো ফুটিয়ে তুলতে পারেন। তবু লেখকের প্রতি ভালোবাসা থেকে এই দুঃসাহস দেখিয়েছি। খুব যত্ন নিয়ে কাজটা করেছি। কতটা ভালো করেছি, সেটা প্রথমে ছেড়ে দেব মেহের আফরোজ শাওনের হাতে, তারপর দর্শকের হাতে।’
টেলিছবিতে রুপার চরিত্রে অভিনয় করেছেন টয়া। তিনি বলেন, ‘এর আগে হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে কাজ করেছি। এবার তার গল্পে তার অনুপস্থিতিতে কাজ করলাম। হুমায়ূন আহমেদকে খুব মিস করেছি। রাজী আলীম খুব পরিশ্রম করেছেন এ টেলিছবি নিয়ে। আমাকে তিনি যেভাবে পর্দায় মেলে ধরতে চেয়েছেন, আমি সেভাবেই হাজির হয়েছি। আশা করি চমৎকার একটা কাজ উপহার পাবেন দর্শক।’
রাজু আলীম আরও জানান, হুমায়ূন আহমেদের এই গল্পটি ‘দুই বাংলার সেরা প্রেমের গল্প’ সংকলনে স্থান পেয়েছিল।
টেলিছবি পরিচালনার পাশাপাশি চিত্রনাট্যও লিখেছেন রাজু আলীম। চিত্রগ্রহণে রয়েছেন জোবায়েদ হোসেন তুফান। চঞ্চল চৌধুরী, টয়া ছাড়াও এতে অভিনয় করেছেন ঈশানা খান, শহিদুল আলম সাচ্চু, কাজী উজ্জল, ইকবাল বাবু, রিয়াস হোসেন, মাহবুব আলম, মুনা চৌধুরী প্রমুখ।
পূর্ববর্তী পোস্ট