জন্মের পর থেকে শেষ দিন পর্যন্ত রোগের সঙ্গে আমাদের যুদ্ধ করে বেঁচে থাকতে হয়। কখনও আমরা জিতে যাই আবার কখনও রোগ ব্যাধির কাছে আমাদের হার মেনে নিতে হয়।
একটা সময় ছিল যখন অনেক খুঁজলেও ডায়াবেটিস রোগীদের সন্ধান পাওয়া যেত না। কিন্তু এখন প্রতি ঘরে একজন করে ডায়াবেটিস, অথবা ব্লাড প্রেসারের রোগী আছেই আছে। বর্তমান পরিস্থিতি একেবারে হাতের বাইরে চলে গেছে। এখন রোগের সঙ্গে আমাদের লড়াইটা আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে।
আয়ুবের্দিক মেডিসন খেলে কোনও ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। ফলে রোগ তাড়াতাড়ি সেরে যায়, সেই সঙ্গে শরিরের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়। আজকের প্রজন্ম যেসব রোগে বেশি মাত্রায় আক্রান্ত হয়ে থাকে সেগুলির মধ্যে অন্যতম হল স্ট্রেস, ডিপ্রেশন, বন্ধাত্ব্য, সংক্রমণ, সেই সঙ্গে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট ডিজিজ প্রভৃতি। এসব রোগের প্রকোপ কমাতে পারে একটি মাত্র আয়ুর্বেদিক ওষুধ, চলুন জেনে নেই সেই আয়ুবের্দিক ওষুধ সম্পর্কেঃ
ওষুধটি বানাতে যে যে উপকরণগুলির প্রয়োজনঃ
১। শুঁকনো জলপাই গাছের পাতা, ৫-৬ টা।
২। দুই গ্লাস খাবার পানি।
এই ঘরোয়া ওষুধটি বাস্তবিকই আধুনিক সব রোগ সরাতে কার্যকরি ভূমিকা নিয়ে থাকে। জলপাই বা অলিভ পাতার গুণাগুণ কী কম? এতে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, বিশেষ কিছু এনজাইম এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপাটিজ সংক্রমণের প্রকোপ কমানোর পাশাপাশি হজম ক্ষমতার উন্নতিতে, কোলেস্টরল কমাতে, ওজন হ্রাসে এবং কোষেদের কর্মক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
অলিভ পাতায় উপস্থিত অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপাটিজ ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া এবং ফাঙ্গাসদের দ্রুত মেরে ফেলে। ফলে ঠান্ডা লাগা, ভাইরাল ইনফেকশন, ভাইরাল ফিবার, গলার সংক্রমণ, ইউরিনারি ট্রাক্ট ইনফেকশন, টিউবারকুলোসিস এবং হার্পিসের মতো রোগ হওয়ার সম্ভাবনা একেবারে থাকে না বললেই চলে।
ওষুধটি বানানোর পদ্ধতিঃ
১। পরিমাণ মতো পানিতে শুঁকনো জলপাই পাতাগুলিকে কম করে ১৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন।
২। ১৫ মিনি শেষে পানি ছেঁকে নিন এবং ভাল করে ফুটিয়ে নিন।
৩। পানি ফোটানো শেষ হলে, পানিয়টা একটা বোতলে ভরে রাখুন এবং প্রতিদিন ব্রেকফাস্টের পর এই পানিয়টি পান করুন।
৪। প্রয়োজন হলে এই পানিয়টা বানানোর সময় হালকা মধু মিশিয়ে নিতে পারেন।