পান খাওয়ার রীতি বাংলাদেশে বেশ পুরানো। নিশ্বাসকে সুরভিত করা এবং ঠোঁট ও জিহবাকে লাল করার জন্য মানুষ পান খায়। প্রধানত দক্ষিণ এশিয়া, উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশসমূহ, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মানুষ পান খায়। কেবল স্বভাব হিসেবেই নয়, বাংলাদেশে ঐতিহ্যগতভাবে সামাজিক রীতি, ভদ্রতা এবং আচার-আচরণের অংশ হিসেবেই পানের ব্যবহার চলে আসছে।
স্বাস্থ্যের পক্ষে বেশ উপকারি পান। চলুন জেনে নেওয়া যাক পানের উপকারী ও অপকারী দিকগুলো:-
উপকারিতা সমূহ:
১) পান খেলে মুখের স্বাদ ফিরে আসে।
২) রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পান সাহায্য করে।
৩) গলার সমস্যায় পান খুব উপকারী। আওয়াজ পরিস্কার করতে পান সাহায্য করে।
৪) পান হজম শক্তি বাড়ায়।
৫) পান খেলে পেট পরিষ্কার হয়।
৬) হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণ করে পান।
৭) সর্দি কাশি হলে পানের রসের সাথে মধু মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
৮) পানের সাথে গোলমরিচ, লবঙ্গ মিশিয়ে খেলে কাশি কমে যায়।
৯) মুখে ঘা হলে পানের মধ্যে কর্পুর দিয়ে চিবিয়ে খেয়ে বার বার পিক ফেললে সুফল পাওয়া যায়।
১০) পান খাওয়ার ফলে মুখে যে লালার সৃষ্টি হয় তা হজম শক্তি বৃদ্ধি করে।
পানের বেশ কিছু অপকারিতাও রয়েছে। পান খাওয়ার সময় এসব বিষয় ও খেয়ালে রাখতে হবে-
অপকারিতা সমূহ:-
১) খাওয়ার পরে পান খাওয়া উচিত। খালি পেটে পান খাওয়া উচিত নয়।
২) পানের সঙ্গে জর্দা মিশিয়ে খেলে পানের সব গুণ নষ্ট হয়ে যায়।
৩) বেশি পান খেলে মুখ ও চোখের রোগ হতে পারে। পানের সঙ্গে বেশি সুপারি খাবেন না।
৪) পানের সঙ্গে বেশি খয়ের খেলে ফুসফুসে ইনফেকশন হয়।
৫) পানে বেশিমাত্রায় চুন খেলে দাঁতের ক্ষতি হয়।
৬) যাদের জ্বর এবং দাঁতের সমস্যা রয়েছে তাদের পান খাওয়া বন্ধ করে দেওয়া উচিত।