পাঁচ ম্যাচ নিষিদ্ধ থাকায় ছিলেন না ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ইসকো আর গ্যারেথ বেলকে মাঠেই নামাননি জিদান। তিন প্রধান খেলোয়াড়কে ছাড়াই নামা রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে পেরে উঠেনি বার্সেলোনা। রিয়ালের জয়ের নায়ক তরুণ মার্কো আসেনসিও। গোল পেয়েছেন করিম বেঞ্জেমাও। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে বুধবার রাতে রিয়াল মাদ্রিদ জিতেছে ২-০ গোলে। ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ৫-১ গোলে ব্যবধানে সুপার কাপ জিতল জিনেদিন জিদানের শিষ্যরা।
ঘরের মাঠ ন্যু ক্যাম্পে ৩-১ গোলে হেরেছিলো লিওনেল মেসিরা। প্রতিপক্ষের ঘাঁটিতে এসে সুপার কাপ জিততে কমপক্ষে তিন গোলের ব্যবধানে জেতার দরকার ছিলো আর্নেস্তো ভার্লবার্দের ছেলেদের। কোথায় কি। নেইমারবিহীন বার্সেলোনা যেন দিশেহারা পথিক। দুই গোল হজম করে মাথা নিচু করে মাঠ ছেড়েছে তারা।
ন্যু ক্যাম্পে শেষ গোলটা করেছিলেন আসেনসিও। এদিন শুরুতেই স্কোরশিটে নাম উঠালেন তিনি। চার মিনিটের সময় ৩০ গজ দূর থেকে বুলেট শটে এগিয়ে দেন রিয়ালকে। গোলরক্ষক আন্ড্রে টের স্টেগেন তখন হতভম্বের মতো দাঁড়িয়ে।
পিছিয়ে গেলে আগে জেগে উঠত কাতালানরা। এদিন দেখা গেল উলটো চিত্র। আরও ঝিমিয়ে গেল তারা। একের পর এক ভুল পাসে তাদের দেখে মনে হলো খেই হারিয়ে মাঝ সমুদ্রে হাবুডুবু খাচ্ছে। ১৮ মিনিটে লিওনেল মেসি একক প্রচেষ্টায় সমতায় ফেরার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ডি বক্সে ডুকে আর পা চলল না তার। ৩৯ মিনিটে করিম বেঞ্জেমা বার্সার জালে শেষ পেরেকটা ঠুকে দেন।
৭১ মিনিটে এক গোল শোধ দিতে পারত কাতালানরা। গোলরক্ষক নাভাসকে একা পেয়েও জোরালো শট নিতে পারেননি সার্জিও রবের্তো। ফিরতে বলে অবশ্য মেসি জোরালো শট নিয়েছিলেন সেটা ফিরিয়ে দেন নাভাস। আবার হেডে বল জালে ঢুকাতে চেয়েছিলেন পুরো ম্যাচে নিষ্প্রভ থাকা লুইস সুয়ারেস। কিন্তু বল লেগে আসে সাইড বারে।
মৌসুমটা দারুণ শুরু হলো রিয়ালে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে হারিয়ে উয়েফা সুপার কাপ জিতেছিল কদিন আগে। এবার স্প্যানিশ সুপার কাপও গেল তাদের ঘরে।