‘ডোকালাম ইস্যুতে’ সীমান্তে উত্তেজনা বাড়িয়ে মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছে ভারত ও চীন। দু’টি দেশই সীমান্ত থেকে সেনা সরাতে নারাজ। তবে চীন যুদ্ধে নামতে আগ্রহী বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যার প্রস্তুতিও চীন শুরু করে দিয়েছে। চীন বিভিন্ন প্রান্তে তার হাসপাতালগুলিতে রক্তও সঞ্চয় করে রাখছে, যাতে যুদ্ধে আহত সেনাদের চিকিৎসায় রক্তের অভাব না হয়। যদিও বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত-চীন যুদ্ধ হলে, চীনকে ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। চীনের সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী, পিএলএ চীনের হুনান প্রদেশের চাংশার একটি হাসপাতালে ব্লাড ব্যাংক স্থানান্তরিত করেছে, যেখানে রক্ত সঞ্চয় করার কাজ চলছে। এছাড়া চীনের হুবেই প্রদেশ এবং গুয়াংশি ঝুয়াং-সহ বিভিন্ন প্রদেশের বেশ কয়েকটি বড় হাসপাতালেও রক্ত সঞ্চয়ের কাজ চলছে বলে জানা গেছে। সূত্র মতে, চীন ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হতেই ব্লাড ব্যাংকে মন দিয়েছে। এদিকে তিব্বতের লাসায় কয়েকটি ফাইটার জেট মোতায়েন করেছে চীন। তাছাড়া গত মঙ্গলবার দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে পাথর ছোঁড়াছুড়ি হয়েছে। লাদাখে নিজেদের সীমানা পেরিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢোকার চেষ্টা করলে চীনা সেনাকে বাধা দেয় ভারতীয় সেনারা। এরপর ভারতীয় সেনাদের লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে শুরু করে চীনের সেনাবাহীনী। পাল্টা জবাব দেয় ভারতও। এরপরে বেশ কিছুক্ষণ দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ চলে। দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন সেনা আহত হয়েছেন বলেও জানা যায়। এরপরেই তিব্বতে চীনা এয়ারফোর্স মোতায়েন হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গত কয়েকদিন ধরেই ডোকলাম ইস্যু আর চরম আকার নিতে শুরু করেছে। এরপর ভারত কী পথ বেছে নেবে, সেটাই প্রশ্ন। প্রায় গত দু’মাস ধরে সিকিম সীমান্তে দুই দেশের সেনাবাহিনী প্রায় মুখোমুখি অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। কারও এক পা’ও সরে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। প্রসঙ্গত, ডোকালাম এলাকার মালিকানা দাবি করে আসছে ভারত ও চীন উভয়েই। ফিঙ্গার ফোরে চীন একটি সড়ক নির্মাণ করেছে, যা দুই দেশের সীমারেখা লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল (এলএসি) থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে। পানগং হৃদের উত্তর ও দক্ষিণ পাড় টহলের জন্য ব্যবহার করে থাকে চীন। এই হৃদের ৪৫ কিলোমিটার পাড় ভারতের এবং ৯০ কিলোমিটার পাড় চীনের মধ্যে পড়েছে। এই হৃদকে কেন্দ্র করে দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। যা এখনও বিদ্যমান।
ভারত-চীন যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী, ব্লাড ব্যাংক তৈরি চীনের!
পূর্ববর্তী পোস্ট