২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক সাকিব আল হাসানের। ক্রিকেট মাঠে বহু কীর্তি গড়ে আজ তিনি বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। নিজের অর্জনের পেছনে স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশিরের অবদানের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করলেন সাকিব।
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের যুগপূর্তিতে সাকিবকে সংবর্ধনা দিয়েছে ‘ষোলো কোটি মানুষের প্রাণ, সাকিব আল হাসান’ নামে একটি সংগঠন। রবিবার অনুষ্ঠানটি হয়েছে মিরপুর এক নম্বরে সাকিবেরই রেস্টুরেন্টে। সেখানে স্ত্রীর অবদান প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তার মন্তব্য, ‘আমার ক্যারিয়ার এত দূর আসার পেছনে স্ত্রীর অনেক অবদান আছে। আর মেয়ের জন্মের পর আমাদের পুরো জীবনটাই বদলে গেছে।’
স্ত্রীর পাশাপাশি বন্ধু-আত্মীয়-সাংবাদিক এবং ভক্তদের কথাও বলেছেন সাকিব। ভক্তদের ধন্যবাদ জানিয়ে তার মন্তব্য, ‘ভক্তরা শুধু আমাকে নয়, পুরো বাংলাদেশ দলকে অনুপ্রাণিত করে। অনেক সমস্যার মধ্যেও ভক্তরা যেভাবে সমর্থন দেয়, তা অকল্পনীয়। খারাপ সময়ে সমর্থন অনেক কাজে আসে, আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়। ক্রিকেট বোর্ড সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আর আপনারাও (সাংবাদিকরা) অনুপ্রাণিত করেন আমাকে।’
বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে সাকিবের আক্ষেপও আছে কিছুটা, ‘আমরা যে টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেছিলাম, সেটা জিততে পারলে ভালো হতো। তবে সুযোগ এখনও শেষ হয়ে যায়নি। আমাদের উন্নতির ধারা ঊর্ধ্বমুখী। আশা করি, ভবিষ্যতে ট্রফি জিততে পারবো।’
ক্যারিয়ারের ১১ বছর পেরিয়ে গেলেও আরও দীর্ঘ দিন দেশের হয়ে খেলতে চান তিনি, ‘যতদিন পারফর্ম করতে পারবো, ততদিনই খেলবো। জানি না আর কতদিন খেলতে পারবো। তবে আশা করি, আরও ৮-১০ বছর খেলা চালিয়ে যেতে পারবো।’
অনুষ্ঠানে ‘আলাদীনের চেরাগ হাতে পেলে কী করবেন?’ এমন প্রশ্ন রাখা হয় সাকিবের সামনে। কিছুক্ষণ ভেবে নিয়ে তারকা অলরাউন্ডারের সপ্রতিভ উত্তর, ‘এটা সত্যি চিন্তা করার বিষয়। টাকা যে চাইবো, এটা নিশ্চিত। কারণ টাকা থাকলে সব কিছু করা সম্ভব। দেশকে কীভাবে সুন্দর করে সাজানো যায়, ক্রিকেটে আরও উন্নতি করা যায় এসবই চাইবো।’