অস্ট্রেলিয়াকে ২১৭ রানে অলআউট করে ৪৩ রানের লিড সঙ্গী করে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং নামা টাইগাররা দ্বিতীয় দিন শেষে তুলেছে ৪৫ রান। ১ উইকেট হারানো বাংলাদেশের লিড ৮৮ রান।
বহুল প্রতিক্ষীত ঢাকা টেস্টে অজিদের চ্যালেঞ্জিং টার্গেট ছুঁড়ে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে সাবধানী ব্যাটিং শুরু করেন তামিম ইকবাল-সৌম্য সরকার। দিনের খেলা ২ ওভার বাকি থাকতেই বিদায় নেন সৌম্য সরকার। ব্যক্তিগত ১৫ রানে ফেরেন তিনি। অ্যাস্টন অ্যাগারের বলে উসমান খাজার হাতে ধরা পড়ার আগে ৫৩ বল মোকাবেলা করেন এই ওপেনার। ২১তম ওভারের প্রথম বলে দলীয় ৪৩ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। দিন শেষে তামিম ৩০ রানে আর নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামা তাইজুল ইসলাম ০ রানে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে প্রথম ইনিংসে অজিদের সবকটি উইকেটই (উসমান খাজা রানআউট) ছিল টাইগার স্পিনারদের দখলে। জস হ্যাজলউডকে (৫) ইমরুল কায়েসের ক্যাচ বানিয়ে পাঁচ উইকেট পূর্ণ করেই সফরকারীদের গুটিয়ে দেন সাকিব আল হাসান। মেহেদি হাসান মিরাজ নেন তিনটি। অন্যটি তাইজুল ইসলামের। টেস্ট খেলুড়ে সব দেশের বিপক্ষে ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়ে সাকিব কিংবদন্তি মুরালিধরন, রঙ্গনা হেরাথ আর ডেল স্টেইনের পাশে যোগ হন।
বৃষ্টির কারণে বিলম্বে শুরু হওয়া তৃতীয় ও শেষ সেশনে এসেই কামিন্স-অ্যাগার জুটি (৪৯) ভাঙেন সাকিব। সাকিবের বলেই নতুন জীবন পাওয়া প্যাট কামিন্স বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন। অজিদের রান যখন ১৬৬ কামিন্সের সহজ ক্যাচ হাতছাড়া করেন। ক্যাচ মিসের সুবাদে এ জুটিতে যোগ হয় আরও ২৭ রান। তার আগে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে (২৩) মুশফিকুর রহিমের স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার বানিয়ে নিজের তৃতীয় উইকেট তুলে নেন সাকিব। ১৪৪ রানে অষ্টম উইকেট হারায় অজিরা। মধ্যাহ্ন বিরতির পর দ্বিতীয় সেশনের প্রথম ওভারেই ম্যাথু ওয়েডকে (৫) এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলে তৃতীয় শিকারে পরিণত করেন মিরাজ। প্রথম সেশনের শেষ ওভারে (৩৬তম) পথের কাঁটা ওপেনার ম্যাট রেনশকে (৪৫) স্লিপে সৌম্য সরকারের তালুবন্দি করে ষষ্ঠ উইকেটের পতন ঘটান সাকিব। একরাশ স্বস্তিই পান সৌম্য। তাইজুলের করা আগের ওভারেই যে সহজ ক্যাচ মিস করেছিলেন। সাকিবের বলেও প্রথম চান্সে পারেননি। বল উপরে ওঠাতেই মেলে রক্ষা।
সোমবার (২৮ আগস্ট) আগের দিনের করা তিন উইকেটে ১৮ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের ব্যাটিং শুরু করে অজিরা। শুরুতেই স্টিভেন স্মিথের (৮) উইকেট দিয়ে মূল্যবান ব্রেকথ্রু এনে দেন মিরাজ। ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে গিয়ে বলের লাইন মিস করে বোল্ড হন অজি অধিনায়ক। দলীয় ৩৩ রানে চার উইকেট হারিয়ে সাবধানী ব্যাটিংয়ে হাল ধরেন রেনশ ও পিটার হ্যান্ডসকম্ব। হ্যান্ডসকম্বকে (৩৩) এলবিডব্লু করে স্বাগতিক শিবিরে স্বস্তি ফেরান তাইজুল। এ জুটি থেকে আসে ৬৯।
দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ২৬০ রান করে বাংলাদেশ। ১০ রানে তিন উইকেট হারানোর ধাক্কা সামলে তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান ১৫৫ রানের জুটি গড়েন। কিন্তু দু’জনই সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন। তামিম ৭১ করে বিদায় নেন। শতক থেকে ১৬ রান দূরে আউট হয়ে যান থাকতে সাকিব। নাসির হোসেন (২৩), মুশফিকুর রহিম (১৮) ও মিরাজ (১৮) কিছুটা অবদান রাখলেও বাকিরা হতাশ করেন। ফলে তিনশ’ রানও করা সম্ভব হয়নি। অজি বোলারদের মধ্যে স্পিনার নাথান লায়ন, অ্যাস্টন অ্যাগার ও পেসার প্যাট কামিন্স তিনটি করে উইকেট নেন।