নিজস্ব প্রতিবেদক : জামায়াত, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে কালিগঞ্জের কৃষ্ণনগর শ্রমিকলীগের কমিটি গঠন করার অভিযোগ উঠেছে। শ্রমিকলীগের প্রকৃত কর্মীরা এ কমিটিতে স্থান না পাওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তবে কমিটি গঠন উপলক্ষ্যে কোন প্রকার আলোচনা সভা ছাড়াই নামের তালিকা প্রস্তুত করে স্বাক্ষর করেই এ কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে একাধিক নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন।
এলাকাবাসী জানান, গত ৮ সেপ্টেম্বর কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন শ্রমিকলীগের ৪৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। উক্ত কমিটিতে দীর্ঘদিনের স্থান পাওয়া অধিকাংশ ব্যক্তিই জামাত, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির নেতাকর্মী। অথচ যারা প্রকৃত বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাস এবং শ্রমিকলীগ ত্যাগী তারা উক্ত কমিটিতে স্থান পাননি।
এলাকাবাসী আরো জানান, উক্ত কমিটির সভাপতি আব্দুল জলিল এলাকার চিহ্নিত ডাকাত হিসাবে পরিচিত। গত ইউপি নির্বাচনে কালিগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান অহেদুজ্জামানের সহযোগিতায় মেম্বর নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু সে কখনো আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল না। এছাড়া জলিল অহেদুজ্জামানের পোষ্য পুত্র দাবি করে এলাকায় বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।
কমিটির সহ-সভাপতি আফছার উদ্দিন মেম্বর জাতীয় পার্টি, সাধারণ সম্পাদক নজরুল মেম্বর বিএনপি, দপ্তর সম্পাদক নুরুল আমিন জাতীয় পার্র্টির সাথে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত ছিলেন। সুযোগ বুঝে তারা এখন শ্রমিকলীগের বড় বড় পদ দখল করেছেন। জাতীয় শ্রমিকলীগের মত সংগঠনের এসব জামায়াত বিএনপি নেতাকর্মীদের স্থান দেওয়ার বিষয়ে এলাকাবাসী জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এবিষয়ে কৃষ্ণনগর শ্রমিকলীগের নব গঠিত কমিটির সভাপতি আব্দুল জলিল এর ব্যবহৃত ০১৭১১০৭৯৪৪৩ নাম্বারে শনিবার সন্ধ্যায় সাড়ে ৬টায় যোগাযোগ করলে তিনি রিসিভ করেননি।
এবিষয়ে কালিগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক শেখ শাহাজালালের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, জলিল মেম্বর ৪ বছর তরুণলীগের সাথে জড়িত ছিলো, তবে নজরুল জাতীয় পার্টি করতো এটা সঠিক। এছাড়া উক্ত কমিটিতে ২/১ জন জামায়াত বিএনপি থাকতে পারে। এটা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। সাধারণ সভা ডেকে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে তাদের বাদ দিয়ে দেওয়া হবে। জলিল মেম্বর ডাকাত ছিলেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি কিছুটা নিরব হয়ে বলেন এসব তথ্য কোথা থেকে পেয়েছেন? আমাদের তো জানা নেই।
পূর্ববর্তী পোস্ট