ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, কালিগঞ্জ : কালিগঞ্জ উপজেলার মথুরেশপুর ইউনিয়নে নিরালা (১৮) নামে এক গৃহবধু ধর্ষণ হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার দিবাগত রাত ৮ টার দিকে। এ ঘটনায় একজন ধর্ষককে পুলিশ গ্রেফতার করলেও দুই সহযোগী পলাতক রয়েছে।
এজাহার সুত্রে জানা যায়, দুদলী গ্রামের পিয়ার আলী গাজীর মেয়ে এবং পিরোজপুর গ্রামের শরিফুল ইসলামের স্ত্রীর সাথে পার্শ্ববর্তী মৌতলা ইউনিয়নের চরসোনাই গ্রামের আব্দুল মজিদ কলুর ছেলে শফিকুল ইসলাম (৩০) এবং একই এলাকার পানিয়া শেখ পাড়া গ্রামের ঈদ্রিস শেখের ছেলে শাহিন আলমের সাথে পূর্বের পরিচিতি ছিল। শাহিন এবং তার স্ত্রীর মধ্যে বিভেদ চলছিল একথা তারা জানত। এরই প্রেক্ষিতে সোমবার সন্ধ্যা ৭ টায় শাহিনকে বশে এনে দেবে বলে প্রলোভন দেখিয়ে উকশার বিতর্কিত ‘গুণিন’ এরর বাড়ি নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে সফিকুল মটর সাইকেল যোগে পিরোজপুর শাহিনের স্ত্রীকে নিয়ে তার বোনের বাড়ি থেকে বাহির হয়। কিন্তু গুণিনের বাড়ি না যেয়ে লম্পট সফিকুল তার নিজের বাড়িতে নিয়ে যায় তাকে। এসময় সফিকুল পোশাক পাল্টাবে বলে তাকে রুমের ভিতরে বসতে বলে। সে সরল মনে ঘরে ঢুকতেই দেখতে পায় আগেই ধর্ষক শাহিন খাটের উপরে বসে। এই দেখে সে বাহিরে চলে আসতে উদ্যত হয় কিন্তু লম্পট সফিকুল এবং তার সঙ্গে থাকা শীতলপুর গ্রামের ফয়েজ বাহির থেকে দরজার শিকল আটকিয়ে তালা লাগিয়ে দেয়। এসময় ধর্ষক শাহিন তার উপর ঝাপিয়ে পড়ে। নিজেকে বাঁচাতে নিরালা চিৎকার করে। কিন্তু ধর্ষক তার মুখে কাপড় বেধে দেয়। এরপর বাহির থেকে দরজার তালা খুলে ভিতর ঢুকে লম্পট সফিকুল তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে সুযোগ বুঝে তাকে ধাক্কা দিয়ে সে বাহিরে চলে আসে। বাড়িতে এসে তার পরিবারকে জানালে তার বাবা মা ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় থানায় এসে শাহিনের স্ত্রী বাদি হয়ে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে(মামলা নং-১০,তাং ১১-৯-১৭ ইং খ্রিঃ)। সোমবার রাতে থানার উপÑপরিদর্শক প্রকাশ ঘোষ, উপÑপরিদর্শক শুধাংশু শেখর হালদার ও মামুনুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ সফিকুলের বাড়ি থেকে ধর্ষক শাহিনকে আটক করে। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সফিকুল ও ফয়েজ পালিয়ে যায়।
কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ লস্কার জায়াদুল হক বলেন, বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত একজন ধর্ষককে আটক করা হয়েছে অন্য আসামিদের ধরার জন্য অভিযান অব্যহত আছে। এছাড়া ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট