নিজস্ব প্রতিবেদক : শিক্ষা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী সাতক্ষীরা জেলা কমিটির পক্ষ থেকে সাতক্ষীরা অাঃ করিম বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও পলাশপোল অাদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাছঝ বিশিষ্ট লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবাল এর “মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস” বই বিতরণ করেছে বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী সাতক্ষীরা জেলা শাখা। বই বিতরণের পূর্বে শিক্ষা দিবস সম্পর্কিত অালোচনা করা হয় এবং বই বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা অাঃ করিম বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধাণ শিক্ষিকা নাসরীন খান লিপি, পলাশপোল অাদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোমিনুল ইসলামসহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী কেন্দ্রীয় কমিটির সাহিত্য, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অদিতি অাদৃতা সৃষ্টি, সাতক্ষীরা জেলা কমিটির রাজনৈতিক শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক সাকিব মোড়ল, জেলা কমিটির সাহিত্য, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সম্পাদক জয়ন্ত সরকার।
বই বিতরণের পূর্বে শিক্ষা দিবস সম্পর্কিত অালোচনা ও সমসাময়িক প্রেক্ষাপটের ভিত্তিতে অদিতি অাদৃতা সৃষ্টি বলেন, ”সংগ্রাম ও ঐতিহ্যের মহান শিক্ষা দিবস অাজ। এই দিনে পাকিস্তানি শাসন, শোষণ ও শিক্ষা সংকোচন নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অনেকে শহিদ হন। তাঁদের স্মরণে পালিত হয় শিক্ষা দিবস। অাইয়ুব খান ক্ষমতা দখলের পর একটি শিক্ষা কমিশন গঠিত হয়। ২৭ টি অধ্যায়ের এ কমিশনে ধর্মান্ধ, পুঁজিবাদ, রক্ষণশীল, সাম্রাজ্যবাদী ও শিক্ষা সংকোচন নীতির পূর্ণ প্রতিফলন ঘটে। শিক্ষকদের কঠোর পরিশ্রম করানোর জন্য ১৫ ঘণ্টা কাজের বিধান করা হয়েছিলো। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-ছাত্রসহ বহু মানুষ এর বিরুদ্ধে অান্দোলন করে। অান্দোলনে পুলিশ মিছিলের পেছন থেকে লাঠিচার্জ,কাঁদানে গ্যাস ও গুলি করে।
বর্তমানেও সাম্প্রদায়িকতার বিষ সমাজের প্রতিটা স্তরে। শিক্ষাঙ্গনেও সাম্প্রদায়িকতা। এখনো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী সাম্প্রদায়িক পাঠ্যপুস্তক বাতিলের দাবিতে অান্দোলন করতে হয়। হেফাজত ইসলামের কথায় পাঠ্যপুস্তক থেকে অসাম্প্রদায়িক লেখা বাতিল হয়। বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক হওয়ার পরিবর্তে দিনের পর অারও সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্পে অন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছে। নিজ নিজ জায়গা থেকে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে ভূমিকা রাখুন।