মুক্তির আগেই বিপাকে ‘হাসিনা পার্কার’! দিন দুয়েক আগেই তোলাবাজির মামলায় মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিমের ভাই ইকবাল কাসকরকে পাকড়াও করেছে ঠাণে পুলিশ। তার পরেই তাদের বোন হাসিনা পার্কারকে নিয়ে বানানো ওই ছবিটিতে দাউদের সংস্থা আদৌ টাকা ঢেলেছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
সেই ঘটনার তদন্তে নেমে ঠাণে পুলিশের আবার দাবি, ‘হাসিনা পার্কার’ ছবিতে অপরাধ জগৎই বিনিয়োগ করেছে। গতকালই এর তদন্ত চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছিল হিন্দু সেনা। তাদের অভিযোগ ছিল, ‘হাসিনা পার্কার’ ছবিতে পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্ট করা হয়েছে।
তার পরেই বুধবার এক সাংবাদিক বৈঠকে ঠাণে পুলিশ কমিশনার পরমবীর সিংহের দাবি, এ ধরণের অপরাধের পক্ষে যুক্তি দিতেই ওই ছবির পিছনে টাকা ঢেলেছে অপরাধীরা। তিনি আরও জানান, ‘এর আগেও একাধিক বার তোলাবাজি থেকে পাওয়া টাকা বলিউডি ছবির পিছনে ঢেলেছে দাউদ ইব্রাহিম ও তার সহযোগীরা। ফলে এ বারেও দাউদ-যোগের সম্ভাবনাটা উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না।’
ইকবালের গ্রেপ্তারি প্রসঙ্গে পুলিশের আরেক অফিসার জানান, ‘হাসিনার মৃত্যুর পরে তার নাগপাড়ার বাড়ি থেকেই মুম্বাই ও ঠাণের ব্যবসা সামলাতো ইকবাল। এমনকী, হাসিনার আমলে তার বাড়িতে প্রতিদিন ‘দরবার’ বসতো। তার মৃত্যুর পরে তা বন্ধ হয়নি। সেই প্রথা চালু রেখেছিল ইকবালই।
সূত্রের খবর, শ্রদ্ধা কাপূর অভিনীত ‘হাসিনা পার্কার’ ছবিটি দাউদের বোন হাসিনা পার্কারকে নিয়ে তৈরি হয়েছে। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর তা মুক্তি পাওয়ার কথা। ১৯৯১ সালে তার স্বামী খুন হয়ে যাওয়ার পরেই অন্ধকার জগতে পা রাখে হাসিনা। ধীরে ধীরে মুম্বাইয়ের ত্রাস ‘আপা’ হয়ে ওঠে সে। মূলত মুম্বাইয়ে দাউদের ব্যবসা সামলাতো হাসিনা। তার বিরুদ্ধে ছিল বহু মামলা। ২০১৪ সালে মারা যায় সে। হাসিনাকে নিয়ে তৈরি ওই ছবিটিতে দেখানো হয়েছে ১৯৯৩ সালের মুম্বাই বিস্ফোরণের ঘটনা।
সেই সূত্র ধরেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে পাঠানো ওই চিঠিতে হিন্দু সেনা দাবি করেছিল, ছবিতে মুম্বাই বিস্ফোরণে পুলিশের ভূমিকাকে অত্যন্ত খাটো করে দেখানো হয়েছে। এমনকী ওই ছবিতে বিস্ফোরণের সমর্থনে যথেষ্ট যুক্তিও আছে। সব মিলিয়ে, ‘হাসিনা পার্কার’ ছবিটি যেন দাউদের পরিবারের প্রতি সহানুভূতি জানাতেই তৈরি।
সূত্রঃ আনন্দবাজার