রাখাইন রাজ্য থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষ বাংলাদেশে চলে আসার বিষয়ে মিয়ানমার সরকার ‘গভীরভাবে উদ্বিগ্ন’ বলে জানিয়েছেন দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট হেনরি ভ্যান থিও।
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে ‘রোহিঙ্গা’ সম্বোধন না করে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে তিনি বলেন, ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ এমন একটি সমস্যার ব্যাপারে মিয়ানমার তদন্ত করছে। তবে সরকারি বিবৃতির পুনরাবৃত্তি করে রাখাইন রাজ্যে সৃষ্ট সংকটের কারণ এখনও স্পষ্ট নয় এবং দেশটির মুসলিম জনগোষ্ঠীর বেশিরভাগই দেশে রয়ে গেছে বলে দাবি করেন তিনি।
বুধবারের অধিবেশনে দেয়া ভাষণে তিনি বলেন, ‘আমি আনন্দের সঙ্গে আপনাদের জানাচ্ছি যে, পরিস্থিতি এখন আগের চেয়ে উন্নত।’
ভ্যান থিও বলেন, শুধু মুসলিম না, অন্যান্য সংখ্যালঘুরাও রাখাইন থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিচ্ছে। নিরীহ বেসামরিক জনগণ যেন ক্ষয়ক্ষতি বা হামলার শিকার না হয় সে ব্যাপারে সবরকম পদক্ষেপ নিতে নিরাপত্তা বাহিনীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দলের নেতা এবং রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি’র পরিবর্তে অধিবেশনে অংশ নিয়েছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট হেনরি ভ্যান থিও। রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলা করার লক্ষ্যে দেশেই থাকতে হবে উল্লেখ করে অধিবেশনে যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানান সু চি।
এর আগে মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে অং সান সু চি বলেন, ৫ সেপ্টেম্বরের পর থেকে রাখাইনে আর কোন সহিংসতা চলছে না। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ‘রোহিঙ্গা’ হিসেবে স্বীকার না করে ‘সংখ্যালঘু মুসলিম’ বা ‘বাঙালি’ বলে অভিহিত করা হয়।
সু চিও ভাষণে বলেছিলেন, দেশের বেশিরভাগ সংখ্যালঘু মুসলিমই মিয়ানমার ছেড়ে যায়নি।
তবে ভাষণে রোহিঙ্গাদের ওপর সেনাবাহিনীদের নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালানোর অভিযোগের ব্যাপারে কিছুই বলেননি সু চি। যার ফলে বিশ্বজুড়ে তীব্র সমালোচনা ও নিন্দার মুখে পড়ে তার ভাষণ।