কলারোয়া প্রতিনিধি : কলারোয়ায় সম্প্রতি কয়েকটি মটরসাইকেল চুরি হওয়ার পর এবার প্রকাশ্যে দিনের বেলায় জুলফিকার আলী নামে এক সাংবাদিকের বাই সাইেকেল চুরি হয়েছে। সে কলারোয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক। গতকাল বেলা ১১ টার দিকে কলারোয়া থানার বিপরীতে মাই-ওয়ান টেলিভিশন শো রুমের সামনে থেকে এ সাইকেল চুরির ঘটনা ঘটে। সাংবাদিক জুলফিকার আলী জানান, বেলা ১১ টার দিকে কাচাঁ বাজার করে থানার বিপরীতে মাই-ওয়ান টেলিভিশন শো রুমের সামনে বাজার করা ব্যাগসহ তার ব্যবহৃত হিরো লাল রংয়ের ছোট বাই সাইকেল (তার নাম ও মোবাইল নং-০১৭১৮-৮৪৫৬০৪ লেখা আছে) রেখে পার্শ্ববর্তী চায়ের দোকানে পত্রিকা পড়ছিলেন। কিছু সময় পর বাড়িতে যাওয়ার জন্য সেখানে এসে তার সাইকেলটি সেখানে না পেয়ে পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করে কোন সন্ধান পায়নি। পরে তিনি ঘটনাটি কলারোয়া থানা পুলিশসহ তার সহকর্মিদের ঘটনাটি জানান এবং হতবাগ হয়ে সাইকেলটি খুজতে থাকেন। তিনি আরো বলেন, এক পর্যায়ে তিনি যশোর জেলার শার্শা উপজেলার বাগয়াচাড়া নামক স্থান পর্যন্ত তিনি নিজে এবং সহকর্মি সাংবাদিকদের মাধ্যমে খোজাখুজি করে সন্ধ্যা পর্যন্ত কোন সন্ধান পাননি। কলারোয়ায় থানার পার্শ্ববর্তী কয়েকজন ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বর্তমানে কলারোয়া পৌর সদরসহ উপজেলার আইন শৃংখলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। তারা বলেন, সম্প্রতি বাজারে দিনের বেলায় মোবাইলের দোকান ও বাসা বাড়ীতে মটরসাইকেল চুরির একাধিক ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনা আইন শৃংখলা বাহিনীকে জানানো হলেও এ বিষয়ে তারা কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেনি। কলারোয়া পৌর সদরের ব্যবসায়ীরা অতিদ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এদিকে থানার সামনে থেকে প্রকাশ্যে দিনের বেলার সাংবাদিক জুলফিকার আলীর বাই সাইকেল চুরির ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন কলারোয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের কর্মকর্তাসহ উপজেলায় কর্মরত গনমাধ্যম কর্মিরা। তারাও কলারোয়া থানা পুলিশ প্রশাসনকে সাইকেলটি উদ্ধার এবং সংঙ্গবদ্ধ এসব চোরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন। কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইমদাদুল হক শেখ জানান, সাংবাদিক জুলফিকার আলী থানায় এসে ঘটনাটি আমাকে জানিয়েছে। তিনি বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করার জন্য পরামর্শ দেয় হয়েছে। এছাড়া চুরি হওয়া সাইকেলটি উদ্ধারের জন্য পুলিশ তদন্ত করছে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।