আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে, নজিরবিহীনভাবে সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত কয়েকটি সংবাদপত্রের বিরুদ্ধে একটি সুপরিকল্পিত ষঢ়যন্ত্র শুরু হয়েছে। এবং এই পত্রিকাগুলো সরাসরি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির হওয়ায় একটি স্বার্থানেষ্বী মহল ’শকুনি’ মামার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে সংবাদপত্রগুলোর কণ্ঠরোধ করে সাময়িকভাবে যুদ্ধাপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ টাইব্যুনালে বিচারাধীন সাতক্ষীরার শীর্ষ ৪ মানবতাবিরোধী ও তাদের দোসরদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে। এই বিচার চলাকালীন যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে বিঘ্ন সৃষ্টি করাই এই চক্রটির মূল লক্ষ্য। একই সাথে সাতক্ষীরার মানুষের বিপুল পরিমাণ অর্থ নানাভাবে লুণ্ঠন করা, প্রতিষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানে ঘুষ বাণিজ্যের বিরুদ্ধে যেন কেউ মুখ খুলতে না পারে এবং তাদের অপকর্মকে পাঠকের সামনে তুলে ধরতে না পারে সেজন্য এই চক্রটি গভীর ষঢ়যন্ত্রে লিপ্ত।
সাতক্ষীরা জেলার প্রায় সকল সম্মানিত সংসদ সদস্য ও জেলায় স্থানীয় সরকারের সর্বোচ্চ পদে আসীন জনপ্রতিনিধি কারও প্রতি নূন্যতম শ্রদ্ধা না দেখানো এই চক্রটির বিরুদ্ধে মফস্বলের সকল সাংবাদিক ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সর্বস্তরের রাজনৈতিক-সামাজিক সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নিয়ে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও কুশপুত্তলিকা দাহের মত কর্মসূচি দেয়ার সময় সম্ভবত সমাগত।
সাতক্ষীরা জেলার ২২ লক্ষ মানুষকে যখন-তখন অপমানজনক কথা বলা, সাংবাদিক ও সংবাদপত্র সম্পর্কে নিয়মিত বিষোদগার করা- এই অপশক্তিকে ঝেটিয়ে বিদায় করতে না পারলে এই জেলার সমস্ত অগ্রগতি ব্যাহত হবে। এই অপশক্তির কারণে সাতক্ষীরা জেলায় বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তি শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে। স্বাধীনতাবিরোধী এই চক্রটি বর্তমান সরকারকে অজনপ্রিয় করার ষঢ়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সাতক্ষীরায় একের পর এক অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। সময় এসেছে এদের বিষদাঁত ভেঙে দেয়ার।
সকলে প্রস্তুত থাকুন, রাজপথে এদের বিচার হবে। ২০১৩ সালের স্মৃতি অনেকে ভুলে গেলেও আমরা ভূলিনি। এই সাতক্ষীরার রাজপথে স্বাধীনতাবিরোধীদের বিরুদ্ধে সেদিনের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অভিজ্ঞতা আমাদের রয়েছে। সেদিনের সেই অপশক্তি যেমন আমাদের কাছে পরাজিত হয়েছিল আজকের এই নয়া রাজাকার চক্রও পরাজিত হবেই। বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত।
জয় বাংলা।
– হাফিজুর রহমান মাসুম