আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরার শ্যামনগর থেকে অস্ত্রসহ তিন ডাকাতকে আটক করেছে কোস্টগার্ড সদস্যরা। বৃহস্পতিবার ভোর রাত দেড় টার দিকে উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের পার্শ্বেমারী গ্রামে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি রিভলবার, একটি পাইপগান ও একটি দা উদ্ধার করা হয়। পরে সকালে তাদের শ্যামনগর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে কোষ্টগার্ড সদস্যরা।
আটককৃত ডাকাতরা হল, শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের পার্শ্বেমারী গ্রামে ইউছুপ গাইনের ছেলে সবুজ গাইন (৩২) একই গ্রামে নাসির গাজীর ছেলে সিদ্দিক গাজী ওরফে বোমা সিদ্দিক (৩০) ও একই ইউনিয়নের ডুমুরিয়া গ্রামের ইশার আলী মিস্ত্রির ছেলে সিদ্দিক মিস্ত্রী (২৮)।
আংটিহারা কোস্টগার্ড সিনিয়র চীফ পেটি অফিসার সাইদুর ইসলাম জানান, মৎস্য ঘেরে ডাকাতির প্রস্তুতি চলছে এমন সংবাদ গোপনে সংবাদের ভিত্তিতে গাবুরা ইউনিয়নের পার্শ্বেমারী এলাকায় পৌছানো মাত্র কোস্টগার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা গুলি বর্ষন করে। আত্মরক্ষার্থে কোস্টগার্ড সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এ সময় ঘন্টা ব্যাপী বন্দুক যুদ্ধে উভয় পক্ষে ৩৫-৪০ রাউন্ড গুলিবিনময়ের একপর্যায়ে ডাকাত দল পিছু হটে। পরে ঘটনাস্থললে তল্লাশী চালিয়ে ১টি রিভলবার, ১টি পাইপগান, ১টি রামদা ও ২টি হিরোহোন্ডা মোটর সাইকেলসহ তিন ডাকাতকে আটক করে। এ সময় ডাকাত দলের অন্যান্য সদস্যরা পালিয়ে যায়। তিনি আরও জানান, গোলাগুলির সময় স্থানীয় বিভিন্ন মসজিদ থেকে গ্রামে ডাকাতি চলছে এমন প্রচার দেয়ার পর সেখানে বহু স্থানীয় জনতা হাজির হন। পরে অস্ত্রসহ উক্ত তিন ডাকাতকে শ্যামনগর থানায় সোপর্দ করা হয়।
পার্শ্বেমারী গ্রামের আমিরুল ও সফিউল্যাহসহ অনেকেই জানান, শফিউল নামে এক ব্যক্তি তার হাতে থাকা শার্টার গান দিয়ে কোস্টগার্ডকে লক্ষ্য করে গুলি বর্ষন করে। পরে তিনি খাল সাতরিয়ে পালিয়ে যান। এদিকে আটক সবুজ গাইন গাবুরা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বাদশার ছোট ভাই বলে জানাগেছে।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ মান্নান আলি বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট