রাখাইনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর সংঘটিত জাতিগত নিধনের প্রতিবাদে মিয়ানমারের ওপর আবারও নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। রাখাইনের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে দেশটির পররাষ্ট্র দফতরের এক বিবৃতিতে অবরোধের ঘোষণা দেওয়া হয়। রাখাইনে রোহিঙ্গা নিপীড়নের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি হওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করা হয় ওই বিবৃতিতে।
এই ঘটনায় ইতোমধ্যে মিয়ানমারের সামরিক নেতাদের ওপর এরইমধ্যে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, তারা এখন সামরিক সহায়তা তুলে নেওয়ার কথা ভাবছে। পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র হেদার নরেট বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা রাখাইনের ঘটনায় গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। হত্যাযজ্ঞে জড়িতদের শাস্তি হওয়া উচিত।’ বিবৃতিতে বলা হয়, এই হত্যাযজ্ঞের সঙ্গে জড়িত ও দায়ী যেকোনও সরকারি ও বেসামরিক ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনতে হবে।
পররাষ্ট্র দফতরের বিবৃতির সূত্রে গার্ডিয়ান জানিয়েছে, এই হত্যাযজ্ঞে জড়িত নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তির ওপরে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাও জারি করতে পারে তারা। হত্যাযজ্ঞের সঙ্গে জড়িত ও দায়ী যে কোনও সরকারি ও বেসামরিক ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনার কথাও জানানো হয় এতে।
বিবৃতিতে সহিংসতার শিকার এলাকাগুলোতে জাতিসংঘ ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও সংবাদমাধ্যমকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার তাগিদ দেওয়া হয়। নরেট বলেন, মিয়ানমার সরকার ও তাদের সশস্ত্র বাহিনীকে শান্তি ও নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনতে ব্যবস্থা নিতে হবে, মানবিক সহায়তা দিতে সংস্থাগুলোকে অনুমোদন দিতে হবে এবং যারা পালিয়ে গেছে তাদের ফিরিয়ে আনতে হবে।’
আসছে মাসেই আশিয়ান সম্মেলনে অংশ নিতে মিয়ানমার সফর করার কথা রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। এরমধ্যেই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা এলো পররাষ্ট্র দফতর থেকে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে এখন পর্যন্ত এটাই ট্রাম্প প্রশাসনের সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ। সমালোচকরা অভিযোগ তুলছিলেন, রোহিঙ্গা সংকটে ট্রাম্প শক্তিশালী কোনও ভূমিকা নিচ্ছিলেন না।
রোহিঙ্গাদের ওপর নিধনযজ্ঞ চালানোয় মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর কাছ থেকে সামরিক সহায়তা তুলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির মঙ্গলবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়। এর আগে গত সপ্তাহে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন বলেছিলেন রোহিঙ্গাদের দুর্দশার জন্য মিয়ামারের সেনাবাহিনীকে দায়ী মনে করে যুক্তরাষ্ট্র।