আসাদুজ্জামান : বিরোধপূর্ণ জমি দখল নিতে প্রতিপক্ষের পাঁচটি দোকানে ভাঙচুর, নগদ টাকাসহ আড়াই লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুটপাট ও চারজনকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার চম্পাফুল ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক গাইনসহ ৪৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের হয়েছে। আশাশুনি উপজেলার গোদাড়া গ্রামের আমিনউদ্দিন সরদারের ছেলে নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে কালিগঞ্জ থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে চম্পাফুল ইউপি চেয়ারম্যানের দু’ ছেলে, ইউপি সদস্য আব্দুল কাইয়ুম ও পল্লী চিকিৎসক অশোক রায়কে বিবাদী করে গত ২৭ এপ্রিল আশাশুনি উপজেলার গোদাড়া গ্রামের আমিনউদ্দিন সরদারের ছেলে সাবেক ইউপি সদস্য রেজাউল ইসলাম বাদী হয়ে কালিগঞ্জ সহকারি জজ আদালতে দেওয়ানী মিস-৩৭/১৭ নং মামলা(আমানত) করেন। রেজাউল ইসলাম ও তার তিন ভাইয়ের ক্রয় করা ওই জমিতে (কালিবাড়ি বাজারে) পাঁচটি দোকান ছিল। গত সোমবার সন্ধ্যায় জেলখানা থেকে মুক্তি পেয়ে চম্পাফুল ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক গাইন, ইউপি সদস্য আব্দুল কাইয়ুমসহ আটজন জনপ্রতিনিধি আনুমানিক রাত সাড়ে সাতটার দিকে তারা মোটর সাইকেল বহর নিয়ে চম্পাফুল কালিবাড়ি বাজারে পৌঁছালে চেয়ারম্যান মোজামের নির্দেশে আশিকুল গাইন, আরিফুল গাইন, আব্দুল কাউয়ুম, মোনায়েম হোসেন ও কবীর হোসেনসহ ৫০/৬০ জন তানভির হোসেনের দোকানে হামলা চালায়। এ সময় তারা নগদ ৬০ হাজার টাকাসহ আড়াই লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এতে বাধা দেওয়ায় তানভিরসহ চারজনকে পিটিয়ে জখম করা হয়। পওে হামলাকারিরা আরো চারটি দোকান ঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট করে।
কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুবীর দত্ত জানান, দোকানঘর ভাঙচুর, লুটপাট ও মারপিটের অভিযোগে আশাশুনি উপজেলার গোদাড়া গ্রামের নজরুল ইসলাম বাদি হয়ে হুকুমদাতা চম্পাফুল ইউপি চেয়ারম্যান মোজামম্মেল হক গাইনকে প্রধান আসামী করে ৪৫ জনের নাম মামলা দায়ের হয়েছে। মামলা নং-৩৭।
পূর্ববর্তী পোস্ট