পাকিস্তানকে হারিয়ে যুব এশিয়া কাপের ফাইনালে পা রাখার স্বপ্নটা উজ্জ্বল করে তুলেছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। সেটি কেড়ে নিল বৃষ্টি। সেমিফাইনালে বৃষ্টি আইনে ২ রানে জিতে ফাইনাল উঠে গেছে পাকিস্তান।
বৃহস্পতিবার ২৭৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে থাকা পাকিস্তানিদের ৫ উইকেট তুলে নিয়ে নিজেদের স্বপ্নটা বেশ চওড়াই করেছিল টাইগার যুবারা। পাকিস্তান ইনিংসের ১১ ওভার বাকি থাকতে বৃষ্টি বাগড়া দেয়। তখনও ৬৬ বলে ৭৬ রান দরকার ছিল তাদের। পরে আর খেলাই হয়নি।
মালয়েশিয়ায় অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ। সাইফ-আফিফরা ৬ উইকেটে ২৭৪ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ গড়ে।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান ৩৯ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৯ রান তোলার পর শুরু হয় বৃষ্টি। ব্যাটিংয়ে আসার অপেক্ষায় পাকিস্তানের টেলএন্ডাররা, বাংলাদেশই হয়ত এগিয়ে তখন! কিন্তু বাকি ৫ উইকেট তুলে নেয়ার সুযোগটাই মিলল না।
ব্যাটের পর বল হাতে শুরুটা দুর্দান্তই করে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের প্রথম তিন উইকেট তুলে নেয় ৫০ রানের মধ্যেই। দলীয় ৮, ২৬ ও ৫১ রানে উইকেট হারায় পাকিস্তানিরা। কাজী অনিক ও আফিফ হোসেন নেন একটি করে উইকেট। তিন নম্বর উইকেটটি রানআউট।
সেখান থেকে ৬৯ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দেন মোহাম্মদ তাহা ও রোহাইল নাজির। ২৬ রান করা নাজিরকে ফেরান শওকত। আর ৯২ রানে থাকা তাহাকে আউট করে বাংলাদেশকে দারুণভাবে ম্যাচে ফেরান অনিক। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দিল বৃষ্টি।
আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দারুণ করেন দুই টাইগার ওপেনার পিনাক ঘোষ এবং নাঈম শেখ। দুজনে মিলে তোলেন ৫১ রান। নাঈম ১৪ রানে আউট হলেও ফিফটি তুলে নেন পিনাক। এরপর ফিফটি তুলে নেন অধিনায়ক সাইফ হাসানও। এই দুজনের জুটিতে অবদান ১০৫ রানের।
সাইফ ৬১ রান করে আউট হন। ৫ রান করে আউট হন তৌহিদ। আর ৮২ রান করে আউট হন পিনাক। শেষের দিকে বাংলাদেশকে টেনে তোলেন আফিফ হোসেন ও নাঈম। নাঈম ২২ ও আফিফের ৫২ রানে ৫০ ওভার শেষে ৬ উইকেটে পৌনে তিনশ জমাতে পারে বাংলাদেশ।
নিজেদের শেষ ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারতকে ৮ উইকেটে উড়িয়ে দিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ।