১৯ বছর বয়সী মার্কিন মডেল গিসেলে অনলাইনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের এক ব্যবসায়ীর কাছে ‘কুমারীত্ব’ বিক্রির দাবি করেছেন। এর মূল্য ২০ লাখ পাউন্ড। বলেছেন, এমনি এমনি তিনি এমনটা করেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার খরচ মোটানোর জন্য তিনি এ পথ বেছে নিয়েছেন।
গিসেলে বলেন, ‘আমি স্বপ্নেও ভাবিনি এত মূল্য পাব। আমার স্বপ্ন সত্যি হলো।’ অনলাইনে কুমারীত্ব বিক্রি নারীর একান্ত নিজের ব্যাপার। এটা নিয়ে মানুষ কেন হইচই করে বা কেন এর বিরোধিতা করে, তা বোধগম্য নয় বলেও মন্তব্য তাঁর।
ইনডিপেনডেন্টের খবরে বলা হয়েছে, সিনড্রেলা এসকর্টস নামের জার্মানিভিত্তিক একটি ওয়েবসাইট এই বাণিজ্যের মধ্যস্থতা করে। ওয়েবসাইটটি গত বছর রোমানিয়ার ১৮ বছর বয়সী মডেল আলেকজেন্ড্রা কেফরেনের ‘কুমারীত্ব’ বিক্রির ঘটনার মধ্য দিয়ে আলোচনায় আসে। ওই মডেল হংকংয়ের এক ব্যবসায়ীর কাছে ‘কুমারীত্ব’ বিক্রি করেছিলেন।
ওয়েবসাইটটির মালিক জার্মানির ডর্টমুন্ডের ২৭ বছরের যুবক জ্যঁ জ্যাকবিলস্কি। ফোর্বসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এই বেচাকেনায় যে লাভ হয়, তার ২০ শতাংশ তাঁর প্রতিষ্ঠান পায়। একই সঙ্গে তিনি জানান, যে মেয়ে মানসিকভাবে যথেষ্ট পরিপূর্ণ নন, কিংবা মানসিকভাবে সুস্থ নন, তাঁকে এই সুযোগ দেন না।
সিনড্রেলা এসকর্টসের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকা, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকাসহ সারা বিশ্বের মেয়েরা কুমারীত্ব বিক্রির আগ্রহ প্রকাশ করেন। তবে বেশির ভাগই এর মূল্য চাইতে পারেন না। গিসেলের ঘটনা দেখাল, কত চড়া মূল্যে মেয়েরা কুমারীত্ব বিক্রি করতে পারেন। আর এর জন্য কী বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যবসায়ীরা ব্যয় করে থাকেন। সূত্র : প্রথমআলো।