জাতীয়করণের তালিকাভুক্ত কলেজগুলোর শিক্ষকদের ক্যাডার বহির্ভূত করে বিধিমালা জারির দাবিতে আগামী ৬,৭ এবং ৮ জানুয়ারি আবারও কর্মবিরতিতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি। ২৬ ও ২৭ নভেম্বর কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন শেষে এই ঘোষণা দিয়েছে বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারদের সংগঠনটি।
দাবি না মানা পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহেদুল কবির চৌধুরী।
পরবর্তী আন্দোলন কর্মসূচি জানিয়ে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সাধারণ সম্পাদক চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন,‘ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য সংবিধানে বিধিমালা করার নির্দেশনা আছে। এর উপর ভিত্তি করেই ১৯৮০,৮১ সালে বিসিএস নিয়ম-নীতি জারি প্রণয়ন করা হয়। এই দু’টি নিয়মের ভিত্তিতে ২৮টি ক্যাডারে নিয়োগ দেয়া হয়। আমরা কাউকে খাটো করছি না, ছোট করছি না। শুধু আমাদের নিয়োগের সাংবিধানিক ভীতটা অটুট রাখতে চাইছি। মর্যাদা অটুট রাখতে দেয়া ২৬ ও ২৭ তারিখের কর্মবিরতি কর্মসূচি শেষ হয়েছে।
আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি হিসেবে জানুয়ারির ৬,৭ এবং ৮ তারিখে আবারও কর্মবিরতির ঘোষণা দেয়া হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য যে বিধিগুলো আছে সেগুলোর কোথাও আত্মীকরণের মাধ্যমে ক্যাডারভুক্ত করার কথা বলা নাই। এই অবস্থায় সুস্পষ্ট কোনো বিধিমালা ছাড়া এইসব কলেজের জিও (সরকারি আদেশ) জারি করে তাদের ক্যাডারভুক্ত করা হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করা হবে।’
সম্প্রতি উপজেলা পর্যায়ের ২৮৩ টি কলেজ জাতীয়করণের উদ্যোগ নেয় সরকার। এর আগে যেসব বেসরকারি কলেজ সরকারি করা হয়েছে, সেসব কলেজের শিক্ষকেরা ক্যাডার শ্রেণিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। বিসিএস না দিয়ে এসব কলেজ শিক্ষকদের ক্যাডারভুক্ত করার বিরোধীতা করে আন্দোলন করছে বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকরা।