অনলাইন ডেস্ক: ১৯৬৯ সালের ২০ জানুয়ারি পাকিস্তানি স্বৈরশাসক আইয়ুব খান সরকারের বিরুদ্ধে এ দেশের ছাত্রসমাজের ১১-দফা কর্মসূচির মিছিলে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে জীবন দিয়েছিলেন ছাত্রনেতা আসাদুজ্জামান। সেই আসাদুজ্জামানের স্মরণে আজ শহীদ আসাদ দিবস।
দিবসটি উপলক্ষে পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিভিন্ন সংগঠন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল গেট সংলগ্ন শহীদ আসাদ স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি দিয়েছে। এছাড়া আলোচনা সভারও আয়োজন করা হয়েছে বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে।
পূর্ব পরিকল্পনা অনুসারে ১৯৬৯ সালের এই দিন দুপুরে ছাত্রদেরকে নিয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের পার্শ্বে চান খাঁ’র পুল এলাকায় মিছিল নিয়ে অগ্রসর হচ্ছিলেন আসাদুজ্জামান। পুলিশ তাদেরকে চান খাঁ’র ব্রীজে বাধা দেয় ও চলে যেতে বলে। কিন্তু বিক্ষোভকারী ছাত্ররা সেখানে প্রায় এক ঘন্টা অবস্থান নেয় এবং আসাদ ও তার সহযোগীরা স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে। ওই অবস্থায় খুব কাছ থেকে আসাদকে লক্ষ্য করে এক পুলিশ অফিসার গুলি করে। সাথে সাথে গুরুতর আহত অবস্থায় আসাদকে হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আসাদ শহীদ হওয়ার পর তিনদিনের শোক পালন শেষে ওই বছরের ২৪ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের ছয় দফা ও ছাত্রদের ১১ দফার ভিত্তিতে ঢাকাসহ পুরো বাংলার রাজপথে জোয়ার নামে সর্বস্তরের মানুষের। হয় ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান; যার ফলে আইয়ুব খানের পতন ঘটে। এরপর আরেক স্বৈরশাসক ইয়াহিয়া খান ক্ষমতায় এসে ঘোষণা দেন সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের।
পূর্ববর্তী পোস্ট