শরীর অনেকটা মানানসই; কিন্তু পেটের দিকে চোখ গেলে আঁতকে উঠতে হয়। শরীর থেকে পেট অনেকটা এগিয়ে। এমন শরীর দেখতে যেমন দৃষ্টিকটু, তেমনি চলাফেরায়ও নানা সমস্যা। অথচ খাবারদাবারের প্রতি একটু মনোযোগী হলে এসব সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া যায়। এ জন্য অবশ্যই অস্বাস্থ্যকর খাবার বাদ দিতে হবে, খেতে হবে স্বাস্থ্যকর খাবার। সঙ্গে কিছু ব্যায়াম করলে পেট থেকে চর্বি সহজেই ঝেড়ে ফেলা যায়।
বেশি বেশি পানি পান
আমাদের শরীরের ৭০ শতাংশই পানি। পরিপাকের কাজ বেশির ভাগই পানির উপস্থিতিতে হয়ে থাকে। সুতরাং শরীরে যখন যথেষ্ট পরিমাণ পানি থাকে, তখন পরিপাকের কাজটাও সহজে হয়।
লবণের ব্যাপারস্যাপার
লবণাক্ত খাবার পরিহার করা উচিত। সেই সঙ্গে সংরক্ষিত খাবারও। কেননা সংরক্ষিত খাবারে লবণের পরিমাণ বেশি থাকে। শরীরের জন্য লবণ আসলে ক্ষতিকর, কেননা এটি পানি ধারণ করে রাখে। এটার কারণেই অনেক সময় শুষ্ক দেখায়।
ভাজাপোড়া খাবার পরিহার
প্রথমে ফ্রিজে যেসব অস্বাস্থ্যকর খাবার জমা আছে, সেগুলো ফেলে দিতে হবে। এসব অস্বাস্থ্যকর খাবারের স্থলে তাজা ফল, শাক-সবজি ও শস্যজাতীয় খাবার রাখতে হবে। অতিরিক্ত সিদ্ধ খাবার খাওয়া থেকেও দূরে থাকতে হবে, কেননা এসব খাদ্যে খাদ্যমান নষ্ট হয়ে যায়।
কাঁচা রসুন সেবন
প্রতিদিন সকালে দুই-তিন টুকরা কাঁচা রসুন এবং এক গ্লাস লেবুর শরবত খাওয়ার অভ্যাস করলে দারুণ উপকার পাওয়া যাবে। এটা একদিকে যেমন ওজন কমানোর গতি ত্বরান্বিত করে, তেমনি রক্ত সঞ্চালনের গতি বাড়াতে সাহায্য করে।
সাদা চালের ভাত থেকে দূরে থাকা
সাদা চালের ভাত খাওয়া পরিহার করতে হবে। খেতে হবে গমের খাবার।
বেশি করে ফল খাওয়া
প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যায় এক বাটি করে ফল খেতে হবে। ফল শরীরের ভিটামিনের অভাব পূরণ করবে, সেই সঙ্গে খনিজের অভাবও।
শিম খাওয়া
শরীর থেকে চর্বি ঝেড়ে ফেলতে শিমজাতীয় খাবার বেশি খেতে হবে। নিয়মিত শিমজাতীয় খাবার খেলে মাংসপেশির যেমন উপকার হয়, তেমনি হজমশক্তি বাড়ে। খেতে হবে শসাজাতীয় খাবারও। কেননা শসা যেমন সতেজ রাখতে সহায়তা করে, তেমনি এটি কম ক্যালরি সমৃদ্ধখাবার। শসায় সাধারণত ৯৬ শতাংশ পানি থাকে, যা খাবারকে ঠাণ্ডা রাখতে সহায়তা করে।