প্রেসবিজ্ঞপ্তি : আশাশুনি উপজেলায় পৈত্রিক সম্পত্তি দখল করতে আপন বোনের উপর নির্মম নির্যাতন চালিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে মতিয়ার রহমান নামে এক ব্যক্তি। কোন উপায়ান্ত না পেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এসে সংবাদ সম্মেলন করে এর প্রতিকার দাবি করেছেন মতিয়ার রহমানের বোন মমতাজ। এ সময় লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, তার পিতার দুই বিয়ে। প্রথমপক্ষের ঘরে তারা আট ভাই-বোন। দ্বিতীয়পক্ষের ঘরে রয়েছে আরও তিন সন্তান। মমতাজ বলেন, তার বিয়ের পর কোন সন্তান না হওয়ায় পিতা তাকে অন্যত্র বিয়ে দেন। সেখানেও তার কোন সন্তান না হওয়ায় স্বামী তাকে তাড়িয়ে দেয়। তখন পিতা মৃত গোলাপ গাজী মমতাজের নামে দেড় বিঘা জমি লিখে দেন। সেখানেই ঘর তুলে জীবনে বেঁচে আছেন তিনি। এরই মধ্যে ভরণপোষণের জন্য পিতার দেওয়া দেড় বিঘা জমি থেকে ১০ কাটা জমি বিক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেন মমতাজ। তখন তার নওয়া ভাই মতিয়ার রহমান তাকে বাইরে জমি বিক্রি করতে নিষেধ করে তার কাছে বিক্রির অনুরোধ জানায়। ভাইয়ের কথায় বিশ্বাস করে কোন টাকা-পয়সা না নিয়েই মমতাজ মতিয়ার রহমানের নামে জমি লিখে দেয়। মমতাজ অভিযোগ করে বলেন, তিনি শিক্ষিত না হওয়ায় তার ভাই ১০ কাঠার পরিবর্তে ১৭ কাঠা জমি লিখে নিয়েছে। এছাড়া এখনো পর্যন্ত পাওনা এক লক্ষ টাকা পরিশোধ করেনি। পাওনা টাকা চাওয়ার পর মতিয়ার রহমান তাকে বাড়ি ছাড়া করতে ষড়যন্ত্র শুরু করে। এরই সূত্র ধরে ১/১১/১৬ তারিখে মতিয়ার রহমান, হাসান ও মতিয়ারের স্ত্রী অরুনা খাতুন হত্যার উদ্দেশ্যে দা, বটি নিয়ে তার উপর হামলা চালায়। এ সময় ঘরে গিয়ে আশ্রয় নিলে তারা টেনে হিচড়ে বের করে বেধড়ক মারপিট করে। এ ঘটনায় আশাশুনি থানায় মামলা করতে গেলে ওসি মতিয়ার রহমানের কাছ থেকে টাকা নিয়ে উল্টো তাকেই জেলে দেওয়ার হুমকি দেয়। তিনি বলেন, পুলিশকে ম্যানেজ করে মতিয়ার রহমান তার বাড়ি দখলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি পৈত্রিক সম্পত্তি রক্ষায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
পূর্ববর্তী পোস্ট