বিশেষ প্রতিনিধি: শ্যামনগর উপজেলার মুন্সীগঞ্জ (মথুরাপুর) গ্রামে এক গৃহ বধূর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। শ্যামনগর উপজেলার প: পোড়াকাটলা (দাতিনাখালী) গ্রামের মৃত মাওলানা শহিদুল ইসলামের কন্যা সুরাইয়া খাতুন (১৮)-এর সহিত একই উপজেলার মুন্সীগঞ্জ (মথুরাপুর) গ্রামের আ. জুব্বার মোড়লের পুত্র হুমায়ন মোড়ল (২২)-এর সহিত বিগত প্রায় ৪ মাস পূর্বে বিবাহ হয়। গত ৪ ফেব্রুয়ারি তারিখ আনু: বেলা ১১ টায় সুরাইয়া গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানা যায়। নিহতের প্রতিবেশী ইলিয়াস, কওছার গাজী, আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রীসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত সকলেই জানান. আ. জুব্বার মোড়লের কোন কন্যা সন্তান না থাকায় তারা পুত্র বধূ সুরাইয়াকে আপন মেয়ের মত যতœ করত। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেও ভাল সম্পর্ক ছিল। তবে কি কারণে যে মেয়েটি আত্মহত্যা করল তাহা আমরা বুঝতে পারছি না। নিহত সুরাইয়ার শাশুড়ী তহমিনা বেগম জানান, আমার শরীর খারাপ থাকায় সকালে খাওয়ার পর আমি আমার ঘরে বিশ্রাম করছিলাম। এসময় বৌমা (সুরাইয়া) আমার পাশে এসে শুইয়া পড়ে এবং আমাকে বলে, আম্মু আমি গত রাত্রে একটি খারাপ স্বপ্ন দেখেছি। আমার আব্বু আমাকে তার কাছে ডাকছে। আমি তখণ বলি, আমিও একটি খারাপ স্বপ্ন দেখেছি। একটি বিষাক্ত সাপ আমাকে কামড়াচ্ছে। আমি তখন ডাক-চিৎকার করতে থাকি। কিন্তু, কেহ আমাকে সাহার্য্য করতে এগিয়ে আসেনি। এরপর বৌমা প্রতিদিনের ন্যায় ঘরে বিশ্রাম করতে যায়। তিনি আরও বলেন, প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার জন্য ঘরের বাহিরে গেলে একটু পরে পার্শ্বের বাড়ীর মহসিনের কন্যার ডাক-চিৎকারে আমি ছুটে এসে দেখি, বৌমা গলায় দড়ি দিয়েছে এবং পা ছুটাছুটি করছে। তখন আমি লাশটি উঁচু করে ধরে অস্ত্র আনতে বলি। অস্ত্র আনলে গলার দড়ি কেটে তাকে নামাই। ততক্ষণে সে মারা গেছে। মৃত সুমাইয়ার চাচা বলেন, তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কখনও কোন গোলমাল-গোলযোগের ঘটনা শুনিনি। শ্যামনগর থানার দারোগা মো. এমদাদুল ঘটনাস্থলে এসে লাশ ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে গেছেন। ময়না তদন্তের পরই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এঘটনায় এলাকাবাসি হতভম্ব এবং শোকাহত।
শ্যামনগর মুন্সীগঞ্জে গৃহবধুর আত্মহত্যা
পূর্ববর্তী পোস্ট