সবকিছু ঠিক থাকলে ৩৮ বছর বয়সী কৃষ্ণা কুমারী হতে যাচ্ছেন পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথম হিন্দু নারী সাংসদ। উচ্চকক্ষ সিনেট নির্বাচে পাকিস্তান পিপলস পার্টির মনোনয়ন পেয়ে কৃষ্ণা নিজেই অভিভূত। জানিয়েছেন, বিষয়টি তাতে ভীষণ আনন্দিত করেছে।
করাচিতে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনে সম্প্রতি হাজির হন কৃষ্ণা। অন্যান্য সিনেটর ও মন্ত্রীদের মাঝে তাকে বেশ অচেনা লাগছিল। কৃষ্ণার বক্তব্য, ‘আমি কখনই কল্পনা করিনি যে পাকিস্তানের উচ্চকক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো জায়গায় আমি আসতে পারবো।’
২০০৫ সাল থেকে সামাজিক পরিবর্তনে সক্রিয় কর্মী হিসেবে কাজ করছেন। কৃষ্ণার জন্ম সীমান্তবর্তী সিন্ধুর নগরপারকরে। তার ভাইও পিপিপি-র সঙ্গে যুক্ত। ২০১৩ সালে সিন্ধু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজ বিজ্ঞান নিয়ে স্নাতকোত্তর অর্জন করেন কৃষ্ণা।পাকিস্তানের রাজনীতিতে সংখ্যালঘু হিসেবে কৃষ্ণার এ আগমন অস্বাভাবিক কিছু নয়। পাকিস্তানের প্রথম আইনমন্ত্রী ছিলেন যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডল। পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করেছেন রানা ভগবান দাস। আরও অনেকে এসেছেন। কিন্তু দরিদ্র পরিবারে বেড়ে উঠা কৃষ্ণাই প্রথমবারের মতো সিনেটে নির্বাচনের সুযোগ পেয়েছেন। আর এটাই চমকে দিয়েছে সবাইকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চর্চিত বিষয়ের একটি হয়ে উঠেছে বিষয়টি। পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতারাও শুভকামনা জানিয়েছেন কৃষ্ণাকে।