কলারোয়া প্রতিনিধি :কলারোয়ায় ধানের পোকা দমন করতে গিয়ে ১০ কৃষকের ৪০বিঘা জমির ধান নষ্ট হয়ে গেছে। বর্তমানে ওই কৃষকরা পথে বসে গেছে।
বুধবার সকালে সরেজমিনে ঘটনা স্থানে গিয়ে ও কৃষকদের কাছ থেকে জানা গেছে- কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়ীয়া ইউনিয়নের ভাদিয়ালী-রাজপুর গ্রামের কৃষক আবুল হোসেন, শহিদুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, আব্দুর রহমান গাজি, আবুল খায়ের, গোলাম হোসেন, আব্দুল লতিফ, মোসলেম আলী, ফজের আলী ও মোখলেছুর রহমান চলতি মৌসুমে প্রায় ৩৫/৪০ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেন। ধানে কোন প্রকার পোকা না লাগে তার জন্য সারফ এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ পরিবেশক মেসার্স তাহমিদ টেডার্স ভাদিয়ালী-রাজুপুরের অছিকুর রহমানের দোকান থেকে চলতি মাসের ১৫এপ্রিলে করোথ্রিন ১০ইসি নিয়ে ধানে স্প্রেরে করেন। পরে কৃষকরা মাঠে গিয়ে দেখেন যে ধান সব ঝরে গেছে। সেই সাথে ধান গাছ শুকিয়ে গেছে। বর্তমানে ওই সকল কৃষকের জমিতে ধানের ক্ষতির পরিমান প্রায় ৮০ভাগ দাড়িয়েছে। অনেক কৃষক ধারনা করছেন যে ঝিনাইদহ সার এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ আগাছা দমনের ওষুধ ভুল করে করোথ্রিন ১০ইসি পোকা দমনের বোতলে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। যার ফলে ওই ওষুধ ধানে স্প্রে করায় ধান গাছের আগা শুকিয়ে গেছে। এবিষয়ে সোনাবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম মনিরুল ইসলাম জানান- তিনি বিষয়টি শুনে ঘটনা স্থান পরিদর্শন করেছেন। একই সাথে সকল কৃষকের ক্ষতিপুরনের দাবি জানিয়েছেন। অন্যদিকে ৩নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য হাশেম আলী জানান- করোথ্রিন ১০ইসি স্প্রে করে ধান নষ্ট হয়ে যাওয়ায় কৃষকরা তার কাছে আসেন এবং ক্ষতিপুরনের দাবী করেন। সারফ এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ পরিবেশক মেসার্স তাহমিদ টেডার্স ভাদিয়ালী-রাজুপুরের অছিকুর রহমান জানান- তিনি কৃষকদের মুখে শুনে মাঠে গিয়ে সত্যতা পেয়ে কোম্পানীর সেলন্সম্যান ফারুক হোসেন ও হাসানুজ্জামানকে সেল ফোনে অবহিত করেন। কিন্তু তারা তার কথা মাথায় নিচ্ছেন না। এছাড়া কোন দিন কৃষকের মাঠে পর্যন্ত আসেনি। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মহাসীন আলী জানান- তিনি বিষয়টি জানেন না। এখন পর্যন্ত তার কাছে কোন কৃষক অভিযোগ করেননি। তবে তিনি বিষয়টি খোজ খবর নিবেন। ##
কলারোয়ায় করোথ্রিন ১০ইসি ব্যবহার করে ৪০ বিঘা জমির ধানে ব্যাপক ক্ষতি
পূর্ববর্তী পোস্ট