ন্যাশনাল ডেস্ক: এবার রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) তিন কর্মীকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহতরা হলেন সুনীল চাকমা সনজিত (৩০), অটল চাকমা (৩০) ও স্মৃতি চাকমা।
আজ সোমবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার বাঘাইহাটের করল্যাছড়ি এলাকায় তিনজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
ইউপিডিএফের বাঘাইছড়ি উপজেলার সংগঠক জুয়েল চাকমা জানান, এ হত্যাকাণ্ডের জন্য নতুন ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) ও জনসংহতি সমিতি (এম এন লারমা) দায়ী।
ইউপিডিএফ প্রচার বিভাগের প্রধান নিরন চাকমা বলেন, ‘ভোরে জেএসএস (সংস্কার) ও ইউপিডিএফের (গণতান্ত্রিক) একদল সশস্ত্র ক্যাডার একটি বাসায় একসঙ্গে থাকা আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে গুলি করে তিনজনকে হত্যা করেছে।’ তিনিও এ হত্যাকাণ্ডের জন্য সংগঠন দুটিকে দায়ী করেছেন।
বাঘাইছড়ির সাজেক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল আনোয়ার বলেছেন, ‘ভোরে একটি বাসায় হামলা চালিয়ে তিনজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে জেনেছি। পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গেছে।’
রাঙামাটির পুলিশ সুপার আলমগীর কবিরও ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তিনজনের মৃত্যুর বিষয়টি জানিয়েছেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইউপিডিএফের (গণতান্ত্রিক) মুখপাত্র লিটন চাকমা। তারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয় বলে দাবি করেন তিনি।
সর্বশেষ রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শক্তিমান চাকমাকে (৫২) গুলি করে হত্যা করা হয়। তিনি ২০১০ সালে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি থেকে বের হয়ে যান। পরে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (এম এন লারমা) নামের নতুন রাজনৈতিক দলের অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন।
পরদিন শক্তিমান চাকমার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে যাওয়ার সময় দুর্বৃত্তদের গুলিতে পাঁচজন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে ছিলেন ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) দলের আহ্বায়ক তপনজ্যোতি চাকমা বর্মা।