দেশের খবর: ময়মনসিংহ শহরের মাদক ব্যবসায়ী বলে পরিচিত রেহেনা বেগমের (৪৫) মৃত্যুতে এলাকায় স্বস্তি নেমে এসেছে।
আজ রোববার দুপুর ১টার দিকে মিষ্টির প্যাকেট নিয়ে আনন্দ মিছিল করেছে সানকিপাড়া এলাকার লোকজন। মিছিল শেষে পুলিশ ও এলাকাবাসীর মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করেন মিছিলকারীরা। মিছিলে ছিলেন সোহেল পাঠান, শামিম আকন্দ, টুটুল, রাজন, মোড়ল, শরিফুল, রিপন, চান মিয়া শফিকুল, শরীফ প্রমুখ।
এদিকে দুপুরে সানকিপাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সাড়ে তিন শতক জমির ওপর রেহেনার একটি তিনতলা পাকা বাড়ি রয়েছে। পাশেই একটি অটোগ্যারেজ। একাধিক অটোর মালিক রেহেনা।
রেহেনার মেয়ে আজিজা ও প্রতিবেশী সমলা জানান, পুনর্বাসনের জন্য দুই বছর আগে জেলা পুলিশের উদ্যোগে রেহেনাকে একটি সেলাই মেশিন ও রিকশা দেওয়া হয়। রেহেনা গতকাল বিকেলে ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ আসেন। বিকেল ৪টার দিকে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্যরা রেহেনাকে ধরে নিয়ে যায়। সকালে রেহেনার মৃত্যুর সংবাদ পান তাঁরা।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, রেহেনার মাদকের ছোবলে অসংখ্য শিক্ষার্থী ও উঠতি বয়সের ছেলেমেয়ে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। তাঁর মেয়ে আজিজা ও সমলাসহ অনেকেই রেহেনার মাদক বিক্রি চক্রের সদস্য। তাঁদেরও আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
আজিজা ও সমলার দাবি অস্বীকার করে গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশিকুর রহমান বলেছেন, রেহেনাকে ডিবি পুলিশের কেউ আটক করেনি। রেহেনার নামে কমপক্ষে ১০টি মাদকের মামলা রয়েছে ময়মনসিংহের কোতোয়ালি মডেল থানায়। তাঁর সহযোগীদেরও গ্রেপ্তার করা হবে।
এর আগে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (কমিউনিটি পুলিশিং ও ইনটেলিজেন্স) মুশফিকুর রহমান দাবি করেন, স্থানীয় লোকজন আজ সকাল সাড়ে ৬টায় শহরতলীর গন্ধপা এলাকায় রেহেনার গুলিবিদ্ধ লাশ দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়।
‘মাদকবিরোধী অভিযান শুরুর পর রেহেনাকে গ্রেপ্তার করতে সানকিপাড়ার বাসায় কয়েক দফা অভিযান চালায় পুলিশ। কিন্তু প্রতিবারই তিনি পালিয়ে যেতে সক্ষম হন’, যোগ করেন মুশফিকুর রহমান।