বিনোদন সংবাদ: সাবেক ভারতীয় হার্ড হিটার বিনোদ কাম্বলির স্ত্রী এন্ড্রিয়া হিউইট খ্যাতিমান প্লেব্যাক গায়ক অঙ্কিত তিওয়ারির পিতাকে ঘুষি মেরেছেন- এই অভিযোগে মামলা হয়েছে কাম্বলি ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে। আর তিওয়ারির প্রায় বৃদ্ধ (৫৯ বছর) পিতার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি শপিং মলের ভীড়ে এন্ড্রিয়ার শরীরে বারবার অশালীন স্পর্শ করেছেন।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, সাদা টি-শার্ট পরা এক ব্যক্তি কাম্বলির স্ত্রীর পাশ দিয়ে যাচ্ছেন। এসময়ে তার হাত মেয়েটির শরীর ছুঁয়ে যায়। প্রতিক্রিয়ায় ওই নারী তার মাথায় ঘুষি মারেন।
অঙ্কিতের বাবা রাজকুমার জানান, এন্ড্রিয়া হিউইট তাকে পেটাতে পা থেকে স্যান্ডেলও খুলেন। এসময় তার কনিষ্ঠ পুত্র আহত হন কাম্বলির বডিগার্ডদের হাতে।
প্রসঙ্গত, বিনোদ কাম্বলি হচ্ছেন লিটল মাস্টার শচিন তেন্ডুলকারের বাল্যবন্ধু। অনেকেই মনে করেন শচিনের চেয়ে প্রতিভাবান ক্রিকেটার ছিলেন কাম্বলি।
গতকাল রবিবার উত্তর মুম্বাইয়ের মালাদ এলাকার বিখ্যাত ইনঅর্বিট মলের এ ঘটনায় বিনোদ কাম্বলি ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। মামলার বাদী অঙ্কিতের বড় ভাই অঙ্কুর।
অঙ্কিত জানান, রবিবার ছুটির দিন হওয়ায় মার্কেটে প্রচণ্ড ভীড় ছিল। সেখানে গেম জোনে অঙ্কিতের পিতা রাজকুমার তিওয়ারি নাতনিকে নিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। সঙ্গে তার বন্ধুরাও ছিল। তার বাবা এক নারীর পাশ অতিক্রম করছিলেন এমন সময় ওই নারী তাকে প্রচণ্ড এক ঘুষি মেরে বসেন।
হিন্দি অনলাইন জনসত্তা.কম জানায়, ঘটনার সময় বিনোদ কাম্বলি তার স্ত্রীকে নিয়ে ওই মলে ঘুরছিলেন। টু্ইটার হ্যান্ডেলে কাম্বলি জানান, তিনি স্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য মলে উপস্থিত হন। এসময় শিশুদের গেম জোনে এক ব্যক্তিকে একই ধরনের অপকর্মের জন্য পাকড়াও করেন। এ ঘটনার কিছুক্ষন পরে সেখানে অপর দুই ব্যক্তি তার স্ত্রীর ওপর হামলার চেষ্টা করে।
দুঃখজনকভাবে নারীদের নিরাপত্তা ফের হুমকির মুখে- টুইটারে মুম্বাই পুলিশকে ট্যাগ করে এমন বক্তব্য দিয়েছেন কাম্বলি। তিনি আরও বলেন, কিছু দুর্বৃত্ত তার স্ত্রীকে অশালীনভাবে স্পর্শ করতে চেষ্টা করে। বাধা দেওয়ায় সে তার ছেলেদের ডেকে মারামারির চেষ্টা করে।
কাম্বলি আরও জানান, ঘটনা জানার পর মুম্বাই পুলিশের এক কর্মকর্তা তার বাসায় গিয়েছিলেন।
তবে অঙ্কুর তিওয়ারি জানান, তার বাবা ঘুষি খেয়ে হতবাক হয়ে যান। এসময় সেখানে উপস্থিত নারী (কাম্বলির স্ত্রী এড্রিনা) তার বাবার বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে শরীরে হাত লাগানোর অভিযোগে চিৎকার করতে থাকে। পরে তারা জানতে পারেন যে ওই নারী কাম্বলির স্ত্রী।
অপরদিকে, এ উপস্থিত লোকজনের অনেকেই মোবাইল ফোনে এ ঘটনার ভিডিও করছিলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন কাম্বলি। তিনি মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন অনেকের। তিনি পলায়নপর ব্যক্তিদের কয়েকজনকে ধাওয়াও করেন।
সর্বশেষ খবরে জানা গেছে, ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।