ভিন্ন স্বাদের সংবাদ: জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত গণভোজের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটি সম্ভবত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার। সেখানে দেখা যাচ্ছে, একটি স্কুলের বারান্দায় কিছু লোক খাওয়ার জন্য বসে আছেন। তাদেরকে পাশের রুম থেকে খাবার ভর্তি প্লেট পরিবেশন করা হচ্ছে। বারান্দার সিঁড়ির ওপর হাফপ্যান্ট পরা, খালি গায়ে দুজন পথশিশুকে বসে থাকতে দেখা যায়।
এমন সময় সাদা প্যান্ট ও নীল রঙের ফুল শার্ট পরা একজন লোক এসে ছেলে দুজনকে ধমক দেন। বলেন, ‘এই খাওনের সময় ভিতরে আইছিস ক্যা? উঠ!’ ধমক খেয়ে ছেলে দুজন সিঁড়ি থেকে উঠে দাঁড়ায়। একজনকে ফের খাবারের দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখা যায়। তখন সেই লোক ফের ধমক দেন, ‘আবার দাঁড়াইয়া রইছোস কি জন্য?’ কিন্তু ছেলেটি সেখান থেকে সরতে চায় না। খাবারের দিকে তাকিয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে। এবার সেই লোকটি বলেন, ‘এই, বাইরে গিয়ে বসো, আগে দেইখ্যা লই’। শেষ পর্যন্ত এই পথশিশুকে খাবার দেয়া হয়েছিলো কি না সেটা জানা যায়নি।
গণমাধ্যমকর্মী মাসুক হৃদয় আজ সন্ধ্যায় তার ফেসবুকে ভিডিওটি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘লুটেরাদের দাপটে যুগ যুগ ধরেই দরিদ্র শ্রেণি বঞ্চিত হয়েছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর আদর্শের নাম ভাঙ্গিয়ে এমনটি মানা যায় না। অথচ শেখ মুজিবুর রহমান কত মহান, কত বিশাল মনের অধিকারি ছিলেন। তিনি তো চতুর্থ শ্রেণির মানুষের জন্য কথা বলতে গিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কৃত হয়েছিলেন। ভিডিওতে একজন নামধারী মুক্তিযোদ্ধাকে দেখা যাচ্ছে, তিনি দুই অনাথ শিশুকে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্যোগে আয়োজিত ভোজ সভা থেকে তাড়িয়ে দিচ্ছেন। তাড়ানো এই ব্যক্তিকে নামধারী বললাম এই কারণে যে, তার মুক্তিযোদ্ধা বনে যাওয়ার গল্পটি বিতর্কিত।’
এরপর মুহূর্তে ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়। অনেকেই নানা রকম মন্তব্য করছেন। কেউ বলছেন, এরা মানুষ নামের অমানুষ। আবার কেউ বলছেন, অথচ খাবারের দাবিদার এই অনাথ শিশুগুলি।
আবুল হাসনাত রাফি লিখেছেন, ‘আমাদের সমাজে অতি দরিদ্রদের কাঙ্গাল বলি, কিন্তু কিছু মানুষ মনে দিক দিয়ে বড় কাঙ্গাল প্রকৃতির। তাদের মন-মানসিকতা খুব ছোট। তারা কাঙালি ভোজের নাম করে অথচ সত্যিকারের কাঙ্গালদের ভোজ থেকে বিতাড়িত করে।’
এ এ মোমিন লিখেছেন, ‘কাদের জন্য কাঙ্গালি ভোজ ….. কিছু বলার নাই…..আর এই সময় কে রাজাকার আর কে মুক্তিযোদ্ধা দেখে চেনা যায় না।’
রাসেল চৌধুরী লিখেছেন, ‘অথচ খাবারের দাবিদার এই অনাথ শিশুগুলি।’
সাইফুল ইসলাম লিখেছেন, ‘সে তো মুক্তিযোদ্ধা নন, তাকে অতি উৎসাহী নামধারী লুটেরা, আদর্শ ত্যাগী জনগনবিচ্ছিন্ন নেতারা মাথায় তুলে রেখেছে, এর পরিনাম এরচেয়ে বেশী জাতি আশা করেনা, ছি ছি ছি ধিক্কার জানাই তাদের …’
সাদেকুর রহমান লিখেছেন, ‘এই মানুষগুলো হলো মানুষ নামের অমানুষ।’
ইসরাত জাহান জানু লিখেছেন, ‘ভিডিওটা দুইবার দেখলাম, উনি কেমন মানুষ!’
মাসুম মোহাম্মদ লিখেছেন, ‘লজ্জাহীন লোক এটা গরীবের অধিকার ওরা খেয়ে বেশি হলে আপনারা খাবেন।’
মনির হোসেন লিখেছেন, ‘এই বাচ্চাটাকে আমি পেট পুরে খাওয়া চাই।’
নূর আহমেদ লিখেছেন, ‘উনাকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি। উনার নাম বীর মুক্তিযোদ্ধা হুরাইরা। উনার ভাব দেখে মনে হইছে উনি অনেক দিন যাবত ক্ষুধার্ত। বাচ্চাগুলোকে কি করে কুকুরের মত তাড়িয়ে দিচ্ছে। এখন আপনারাই বলুন প্রকৃত কাঙালি ভোজ কাদের। বাচ্চাগুলোর নাকি উনার।’
দেখুন ভিডিওটি :
লুটেরাদের দাপটে যুগ যুগ ধরেই দরিদ্র শ্রেণী বঞ্চিত হয়েছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর অাদর্শের নাম ভাঙ্গিয়ে এমনটি মানা যায় না। অথচ শেখ মুজিবুর রহমান কত মহান, কত বিশাল মনের অধিকারি ছিলেন। তিনি তো চতুর্থ শ্রেণির মানুষের জন্য কথা বলতে গিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কৃত হয়েছিলেন। ভিডিওতে একজন নামধারী মুক্তিযোদ্ধাকে দেখা যাচ্ছে, তিনি দুই অনাথ শিশুকে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্যোগে অায়োজিত ভোজ সভা থেকে তাড়িয়ে দিচ্ছেন। তাড়ানো এই ব্যক্তিকে নামধারী বললাম এই কারণে যে, তার মুক্তিযোদ্ধা বনে যাওয়ার গল্পটি বিতর্কিত।
Posted by Masuk Hridoy on Wednesday, 15 August 2018