বিদেশের খবর: ইরাম হাবিব। সংবাদ মাধ্যমে এখন জায়গা করে নিয়েছে এই নামটা। কারণ ৩০ বছর বয়স্ক ইরাম হলেন কাশ্মীরের প্রথম মুসলিম নারী পাইলট। এ মাসেই একটি প্রাইভেট এয়ারলাইনে পাইলট হিসেবে যোগ দিতে যাচ্ছেন তিনি।
তবে কাশ্মীরের মুসলিম সমাজ থেকে ইরামের এগিয়ে যাওয়ার লড়াইটা সহজ ছিল না বলেই জানা যায়। দ্বাদশ শ্রেণির পড়াশোনা শেষে ইরাম পাইলট হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। কিন্তু এক্ষেত্রে তাকে সবাই নিরুৎসাহিত করে। তিনি ফরেস্ট্রিতে দেরাদুন থেকে স্নাতক এবং শের-ই-কাশ্মীর ইউনিভার্সিটি অব অ্যাগ্রিকালচারাল সায়েন্সেস অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে স্নাতকোত্তর পাস করেন। ফরেস্ট্রি নিয়ে লেখাপড়া করলেও তার পাইলট হওয়ার স্বপ্ন মরেনি।
তার পরিবার চেয়েছিল স্নাতকোত্তরের পর তিনি যেন ফরেস্ট্রিতে পিএইডি নিয়ে সরকারি চাকরি করেন। কিন্তু তিনি পাইলট হিসেবে প্রশিক্ষণ নেয়ার সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন। পিএইডি শেষ করার পর ইরাম পাইলট হিসেবে প্রশিক্ষণ নিতে যুক্তরাষ্ট্রে যান। মিয়ামি থেকে ইরাম তাঁর প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ করেন। বর্তমানে দিল্লিতে কমার্শিয়াল পাইলট লাইসেন্স নেওয়ার জন্য প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।
প্রথম কাশ্মীরি নারী পাইলট ইরাম হাবিব
পূর্ববর্তী পোস্ট