মোঃ রাসেল ইসলাম, বেনাপোল(যশোর)প্রতিনিধি: ৫ সেপ্টেম্বর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখের ৪৭তম মৃত্যু বার্ষিকী। ১৯৭১ সালের এই দিনে যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার গোয়ালহাটি গ্রামে পাকবাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে শহীদ হন তিনি। মৃত্যুর পর যশোরের শার্শা উপজেলার কাশিপুর গ্রামে তাঁকে সমাহিত করা হয়। বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ ১৯৩৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি নড়াইল সদর উপজেলার মহিষখোলা গ্রামে (বর্তমানে নূর মোহাম্মদনগর) জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৫৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি পূর্ব পাকিস্থান রাইফেলসে (ইপিআর, বর্তমানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি) যোগদান করেন। দিনাজপুর সীমান্তে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করে ১৯৭০ সালের ১০ জুলাই তিনি বদলি হন যশোর সেক্টরে। পরে তিনি ল্যান্স নায়েকে পদোন্নতি পান। মুক্তিযুদ্ধের সময় যশোর অঞ্চল নিয়ে গঠিত ৮ নম্বর সেক্টরে অংশগ্রহণ করে যুদ্ধ করেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ক্যাপ্টেন নাজমুল হুদার নেতৃত্বে যশোরের শার্শা উপজেলার কাশিপুর সীমান্তের বয়রা অঞ্চলে পাক হানাদারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন নড়াইলের এ সাহসী সন্তান।
এ সময় এপ্রিল থেকে আগস্ট পর্যন্ত ৮ নম্বর সেক্টর কমান্ডার ছিলেন কর্নেল (অব:) আবু ওসমান চৌধুরী। সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত কমান্ডার ছিলেন মেজর এস এ মঞ্জুর। তাঁদের নেতৃত্বেও প্রাণ-পণ লড়েছেন নূর মোহাম্মদ। ৫ই সেপ্টেম্বর পাকবাহিনীর গুলিতে সহযোদ্ধা নান্নু মিয়া গুরুতর আহত হলেও সহযোদ্ধাকে কাঁধে নিয়ে এলএমজি হাতে শত্রু পক্ষের সঙ্গে যুদ্ধ করেন। এ সময় পাকবাহিনীর মর্টারের আঘাতে নূর মোহাম্মদের হাঁটু ভেঙে যায়। তবু গুলি চালাতে থাকেন। এক পর্যায়ে গোয়ালহাটিতে পাকবাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে শহীদ হন তিনি।
নুর মোহাম্মদের ৪৭তম মৃত্যু বার্ষিকী যশোরের শার্শার কাশিপুর বীরশ্রেষ্ঠের মাজারে গার্ড অপ অনার, পুষ্পমাল্য অর্পণ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছে।