নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন সাতক্ষীরার সাবেক সংসদ সদস্য এস এম ফজলুল হক ও সাংসদ পুত্র শ্যামনগর উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আতাউল হক দোলন। এসময় প্রধানমন্ত্রীর স্নেহ ভালবাসায় সিক্ত হন তরুণ নেতা দোলন।
এস এম আতাউল হক দোলন বলেন, ”আমার রাজনৈতিক জীবন ধন্য হয়েছে। ” তিনি দাবি করেন, সৌজন্য সাক্ষাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচনে সাতক্ষীরা-৪ আসনে মনোনয়ন বিষয়ে তাকে আশ্বস্ত করেছেন।
এব্যাপারে আতাউল হক দোলন তার নিজ ফেসবুক এ্যাকাউন্টে লিখেছেন, ” গণভবনে বঙ্গবন্ধু কন্যা,মাননীয় তিনি লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনা,র সাথে সাক্ষাৎ ছিল আমার রাজনৈতিক জীবনের বড় প্রাপ্তি। ছোট থাকায় বঙ্গবন্ধুর সাথে দেখা হয়নি কখনও শুনেছি তিঁনি নেতা কর্মীদের অন্তর দিয়ে ভালোবাসতেন। গত কাল ৬ সেপ্টেম্বর সন্ধায় গণভবনে তাঁরই সুযোগ্য উত্তরসুরি সেটির প্রমান দিলেন। আমার পিতা এ,কে,ফজলুল হক গণপরিষদ সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য তিঁনি যখন বঙ্গবন্ধুর সাথে এবং নেত্রীর সাথে তাঁর রাজনৈতিক জীবনের কথা তুলে ধরে স্মৃতি চারন করে আমাকে প্রিয় নেত্রীর হাতে তুলেদিয়ে আবেগ জড়িত কষ্ঠে বলছিলেন আমি মৃত্যু মুখে হয়তো আপনার সাথে আর দেখা করতে পারবো না। আমার ছেলে টাকে আপনার হাতে দিয়ে গেলাম রাজনীতি করার জন্য ওকে একটু দেখবেন তখন নেত্রীর হাতে আমার ও আমার পিতার হাত আমি আবেগ বসত আমার অপর হাত দিয়ে নেত্রীর অপর একটা হাতের বাহু ধরে কথা বলছিলাম তখন নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে এস,এস,এফ এর সদস্য বৃন্দ আমাকে সরিয়ে দিতে চাইলে তিঁনি তাদের উপর রেগে উঠে বলেন ওকে সরতে বলছেন কেন?জবাবে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিবর্গ বলেন উনি আপনার হাত ধরে কথা বলছে সে জন্য। তখন উঁনি তাদের উপর আরও ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন যে সে আমার কর্মী আমার জন্য জীবন দিতে পারে হাত ধরেছে তাতে কি হয়েছে।সে তো পারমিশান নিয়েই এসেছে। আমি নিরাপত্তা কর্মীদের ভয়ে প্রিয় নেত্রীর হাত ছেড়ে দেই পরে নেত্রী পুনরায় বলে আমার হাত ধরতে। আমি দু,হাতে আমার মমতাময়ী নেত্রীর হাত ধরলাম আর নেত্রী অপর হাত দিয়ে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দোয়া করে দিলেন এবং বললেন তোমার দলীয় কর্মকান্ডে আমি খুশি সে সময় আমি সাতক্ষীরা-৪ নির্বাচনী এলাকায় সরকারের যে উন্নয়ন ও সফালতার চিত্র তুলে ধরে যে লিফলেট জনসাধারণের মাঝে বিতরণ করেছি তার কয়েকটা কপি উঁনাকে দেখালে উঁনি আরও খুশি হন এবং বলেন এটাই বেশী বেশী প্রচার করতে হবে যেটা ঐ সময়ে গনভবণে সাক্ষাতকালে আসা অনন্য সকল ব্যক্তিবর্গ ও গনভবণে দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিবর্গ প্রত্যাক্ষ করেছে। পরে প্রিয়নেত্রী তাঁর ক্যমেরা ম্যানকে বলেন আমাদের ছবি তুলতে। সত্যি এটা আমার রাজনৈতিক জীবনের সব চেয়ে বড় পাওয়া।”
এসময় সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন, “সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবুর রহমান, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সম্পাদক সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্র প্রমুখ।
পূর্ববর্তী পোস্ট