খেলার খবর: ১৯৫৬ সালে প্রথমবারের মত ব্যালন ডি’অর উঠেছিল স্ট্যানলি ম্যাথিউজের হাতে। ফ্রান্স ফুটবল ম্যাগাজিন প্রদত্ত ব্যালন ডি’অর সম্মান এতো বছর বরাদ্দ ছিল কেবল পুরুষ ফুটবলারদের জন্যই। অবশেষে ভাঙতে চলেছে সেই প্রাচীন প্রথা। চলতি বছর থেকে নারী ফুটবলারদের জন্যও খুলে যাচ্ছে ব্যালন ডি’অর-র দরজা।
ম্যাগাজিনের মুখ্য সম্পাদক পাস্কাল ফেরি জানান, ‘গত কয়েক বছরে সারা বিশ্বে নারীদের ফুটবল আলোড়ন ফেলেছে। নারী ফুটবল বর্তমানে সমানতালে পাল্লা দিচ্ছে পুরুষদের সঙ্গে। তাই পুরুষ ফুটবলারদের মতই সমান কৃতিত্ব প্রাপ্য তাদেরও।’
২০১৫ নারী বিশ্বকাপ ফুটবলের একটি উদাহরণ তুলে ফেরি’র আরও সংযোজন, ৭৬০ মিলিয়ন দর্শক টেলিভিশনে ২০১৫ নারী বিশ্বকাপ চাক্ষুস করেছিলেন। এটা কোনো মামুলি ব্যাপার নয়।’
অর্থাৎ মুখ্য সম্পাদকের কথাতেই স্পষ্ট, নারী ফুটবলকে বিশ্বদরবারে আরও বেশি করে প্রতিষ্ঠিত করতে মরিয়া ফ্রান্স ফুটবল। মঙ্গলবার ম্যাগাজিনটির পক্ষ থেকে সরকারিভাবে ঘোষণা করা হবে বিষয়টি। আগামী ৮ অক্টোবর ব্যালন ডি অর’র জন্য সম্ভাব্য ৩০ পুরুষ ফুটবলারের নাম ঘোষণা হবে। একইদিনে প্রথমবার ব্যালন ডি অর’র জন্য ঘোষিত হবে ১৫ নারী ফুটবলারের নামও। তার মধ্যে থেকে জার্নালিস্ট এবং বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত ৪০ জনের একটি জুরি বেছে নেবেন সেরা নারী ফুটবলারকে। জুরিদের ভোটেই প্রথমবারের জন্য নির্বাচিত হবেন বিশ্বের সেরা নারী ফুটবলার। আগামী ৩ ডিসেম্বর হবে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান।
ফ্রান্স ফুটবল ম্যাগাজিনের সম্পাদকের এই ঘোষণায় উচ্ছ্বসিত নারী ফুটবলাররা। তারা মনে করছেন ব্যালন ডি’অর তাদের আরও উদ্বুদ্ধ করবে।’