বিদেশের খবর: ক্রমশ উত্তপ্ত হচ্ছে পরিস্থিতি! সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং সৌদি আরবে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর হুমকি দিল ইরান। ভিডিওতে এমনটাই কড়া বার্তা দিয়েছে তেহরান। ভিডিও বার্তায় ইরানের শীর্ষ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির নিয়ন্ত্রণে থাকা রেভলিউশনারি গার্ডের তরফে এই হুমকি দেওয়া হয়। ভিডিওটি ইরানের আধা-সরকারি ফার্স নিউজ এজেন্সি ট্যুইট করার কিছু পরেই তা অবশ্য ‘ডিলিট’ করে দিয়েছে। তবে এই হুমকিতে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ানোর আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কুচকাওয়াজ চলাকালীন হামলা হয় ইরানের সেনাদের ওপর। তাতেই ঘা লাগল ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের গর্বে। দেশের নিরাপত্তা নিয়ে হুঙ্কার ছাড়া সরকার এখন হামলার ড্যামেজ কন্ট্রোলে ব্যস্ত।
সংবাদ সংস্থা ইরনা জানাচ্ছে, শনিবার মিলিটারি প্যারেডে জঙ্গি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে হল ২৪ জন। অন্তত ৫০ জন জখম হয়েছেন। বিবিসি, সিএনএন সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট, এই হামলায় কুঁকড়ে গিয়েছে ইরানি জনজীবন। নিহতদের মধ্যে ইরানের রেভলুশনারি গার্ডস বাহিনীর আটজন সদস্য এবং একজন সাংবাদিক রয়েছেন।
এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ ইরান। এই আক্রমণের জন্য রিয়াধ এবং আবুধাবিকে দায়ী করেছেন খামেইনি। অতীতে গার্ডের তরফে যে ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণ চালানো হয়েছে, তাই ফুটেজ এই বিতর্কিত ভিডিওতে দেখা গিয়েছে। হুমকি দেওয়া হয়েছে ইরানকেও। গত এপ্রিলে খামেনির মন্তব্যের একটি ক্লিপিংসও সেখানে রয়েছে।
খামেনিকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘হিট অ্যান্ড রানের যুগ এখন শেষ হয়ে গিয়েছে। দোষীদের উপযুক্ত এবং কড়া শাস্তি দেওয়া হবে।’
এই ভিডিওর প্রেক্ষিতে পারস্য উপসাগরে এক গভীর দুশ্চিন্তা ও অনিশ্চয়তার বাতাবরণ সৃষ্টি হয়েছে। কারণ, সাম্প্রতিক অতীতে দুবার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। তেহরানে ইসলামিক স্টেটের আক্রমণের পাল্টা হিসেবে ২০১৭ সালে সিরিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছিল। এই মাসের গোড়ায় উত্তর ইরাকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়েছিল ইরানের কুর্দিশ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের শিক্ষা দিতে।