১৬ দিনের একটানা প্রচার শেষে এখন ভোটের অপেক্ষায় নারায়ণগঞ্জবাসী। নির্বাচনে ব্যালটের মাধ্যমেই আজ জনপ্রতিনিধি বেছে নেবেন তারা। সে লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশনও। নির্বাচনী এলাকায় চলছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের টহল।
শীতলক্ষ্যার কোল ঘেঁষে গড়ে ওঠা নারায়ণগঞ্জে পৌরসভা গঠিত হয় ১৮৭৬ সালে। এর ১শ’ ৩৫ বছর পর ২০১১ সালে পৌরসভাকে উন্নীত করা হয় সিটি করপোরেশনে। এবার দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই সিটির নির্বাচন।
গতবারের চেয়ে প্রায় ৭০ হাজার বেড়ে এবার নারায়ণগঞ্জ নগরীতে মোট ভোটারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৯শ’ ৩১। এরমধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৩৯ হাজার ৬শ’ ৬২। আর নারী ভোটার ২ লাখ ৩৫ হাজার ২শ’ ৬৯। ভোটকেন্দ্র ১৭৪টি।
নির্বাচনে ২৭টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে লড়ছেন ১৫৬ প্রার্থী। ৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়েছেন ৩৮ জন। আর মেয়র পদে প্রার্থী ৭ জন।
বহুল আলোচিত এই নির্বাচনে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ২২ প্লাটুন বিজিবিসহ মোতায়েন করা হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সাড়ে ৯ হাজার সদস্য। এরমধ্যে সাড়ে ৫ হাজার সদস্য থাকছেন টহল দলে। আর ৪ হাজার সদস্য মোতায়েন থাকবেন নির্বাচনের দিন ১৭৪টি ভোটকেন্দ্রে। এছাড়া প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর নেতৃত্বে কাজ করছে ১টি করে টিম। এর বাইরে মঙ্গলবার থেকেই ১৪ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর নেতৃত্বে পুরো নির্বাচনী এলাকায় কাজ শুরু করেছে ১৪টি টিম।
দেশে এবারই প্রথম দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের তফসিল ঘোষিত হয় ১৪ই নভেম্বর। আর ৫ই ডিসেম্বর থেকে শুরু হয় আনুষ্ঠানিক প্রচারণা। ভোট গ্রহণ হবে আজ সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।