আগামী বিসিএস থেকে নিয়োগ পরীক্ষায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে ১০০ নম্বর যুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। ঢাকা আইনজীবী সমিতির এ্যাডভোকেট মো. জিল্লুর রহমান মিলনায়তনে বুধবার মুক্তিযোদ্ধা সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের পাশাপাশি এর বিরোধীতাকারীদের তথ্যও পাঠ্য বইয়ে লেখা থাকবে। যাতে তরুণ প্রজন্ম মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি এর বিরোধিতাকারীদের ভুমিকাও জানতে পারে। তাছাড়া আগামী বিসিএস পরীক্ষায় ২৩ বছরের মুক্তি সংগ্রাম ও ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধের ওপর ১০০ নম্বর থাকবে।
আগামী স্বাধীনতা দিবসের আগে মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা করা হবে উল্লেখ করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, আগামী ২৬ মার্চের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা সম্পন্ন করে তাদের হাতে সনদ ও আইডেন্টিটি কার্ড (পরিচয়পত্র) তুলে দেওয়া হবে। সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এটা তৈরি করা হচ্ছে। টাকা জাল করা সম্ভব হলেও এ সনদ জাল করা সম্ভব হবে না।
মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে যুদ্ধের বর্ণনা শুনে সেই স্মৃতি সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা হচ্ছে বলেও জানান আ ক ম মোজাম্মেল। তিনি বলেন, ‘আগামী মার্চ থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধের বর্ণনা নিয়ে স্মৃতি সংরক্ষণ করা হবে। প্রতিটি ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলাভিত্তিক মুক্তিযোদ্ধাদের এসব স্মৃতিচারণ সংকলনের ব্যবস্থা করা হবে। প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধার কবর একইভাবে সংরক্ষণ করা হবে। যাতে কেউ দেখলেই বুঝতে পারেন যে এটা একজন মুক্তিযোদ্ধার কবর। অনুরূপভাবে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিফলক ও বধ্যভূমিগুলোও যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা হবে।
ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. সাইদুর রহমান মানিকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. আয়ুবুর রহমানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে বারের ৪০ জন মুক্তিযোদ্ধা সদস্যকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন খাদ্যমন্ত্রী মো. কামরুল ইসলাম, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমান, ঢাকা জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর খোন্দকার আব্দুল মান্নান, মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর মো. আব্দুল্লাহ আবু প্রমূখ।