নিজস্ব প্রতিবেদক : সাংবাদিক, যুদ্ধাপরাধী মামলার স্বাক্ষী ও নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের নেতা হাফিজুর রহমান মাসুমের বাড়ির সামনে গভীর রাতে সন্ত্রাসী বাহিনীর উপস্থিতির প্রতিবাদে ও নাগরিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল ১০টায় নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ সাতক্ষীরার আয়োজনে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের আহবায়ক এড. ফাহিমুল হক কিসলুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মোঃ নজরুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল হামিদ,সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী, জেলা আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও জজ কোটের পিপি এড. ওসমান গনি, সাংবাদিক সেলিম রেজা মুকুল, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সদস্য সচিব লায়লা পারভীন সেজুতি, পৌর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামান রাশি, কেন্দ্রিয় জাসদের সহ-সম্পাদক শেখ ওবায়েদুস সুলতান বাবলু,স্বপন কুমার শীল, শুধাংশু শেখর সরকার জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ওহেদুজ্জামান টিটু, লোদী ইকবাল। এসময় উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক কল্যাণ ব্যানার্জী, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক আব্দুর রশিদ, জাসদ নেতা আশরাফ কামাল, দৈনিক কালেরচিত্রের মফস্বল বার্তা সম্পাদক মেহেদীআলী সুজয়, সম্মিলিত সাংবাদিক এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এম. বেলাল হোসাইন, অর্থ সম্পাদক সেলিম হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসিফ শাহবাজ খান, সায়েম ফেরদৌস মিতুল, আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, দেবহাটা রিপোর্টার্স ক্লাবের সহ-সভাপতি রেজাউল করিম, সাংবাদিক আরাফাত হোসেন, আলাউদ্দিন, ও জেলা, উপজেলা পর্যায়ের সাংবাদিকবৃন্দ সহ সাতক্ষীরার সচেতন নাগরিক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের সদস্য সচিব আলীনুর খান বাবুল।
এসময় বক্তারা বলেন, গত ২৮সেপ্টেম্বর গভীর রাতে সাংবাদিক হাফিজুর রহমান মাসুম ও সাংবাদিক মেহেদীআলী সুজয়ের বাড়ির সামনে একদল অস্ত্রধারীরা মুখ বেধে খালি গাঁয়ে ঘোরা ফেরা করছিল। তখন সাংবাদিক মেহেদীআলী সুজয়কে সামনে পেয়ে ওই অস্ত্রধারীরা তার গলায় অস্ত্র ধরে বলে চিৎকার করলে তোর লাশ ফেলে দেবো। অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের রহস্যজনক আচরণ ও তাদের ওৎ পেতে থাকার ঘটনা জানাজানি হওয়ায় সকলের মধ্যে নানা জল্পনা কল্পনা বাসা বেধেছে। সবার প্রশ্ন- তারা আসালে কারা ছিলেন? সাংবাদিক সুজয় তাদের সামনে হঠাৎ উপস্তিত হওয়ায় তাকে ভীতি প্রদর্শন করে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা কোথায় চলে গেলো? তারা কি আসলে অন্য কারও জন্য অপেক্ষা করছিল?
সাংবাদিক সুজয়ের বাড়ির সামনের রাস্তার অপরপাশেই বসবাস করেন সাংবাদিক হাফিজুর রহমান মাসুম। তিনি সাতক্ষীরায় যুদ্ধাপরাধ মামলার একজন গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন সাতক্ষীরার মামলাগুলোর সাক্ষ্য-প্রমাণ সংগ্রহের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। পাশাপাশি তিনি নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ, সাতক্ষীরাসহ একাধিক সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত। যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবিতে সাতক্ষীরায় গড়ে ওঠা গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম সংগঠক ও সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন ছাড়াও তিনি দীর্ঘদিন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাতক্ষীরা জেলা শাখার সদস্য সচিবের দায়িত্বও পালন করেছেন। আমরা ধারনা করছি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্ত করতে বা সংবাদ প্রকাশে ক্ষীপ্ত হয়ে একজন নির্ভীক তরুণ সাংবাদিকের কণ্ঠরুদ্ধ করতে সাতক্ষীরার কোন প্রভাবশালী ব্যক্তি বা চক্র ওই সন্ত্রাসীদের ভাড়া করেছে? ভুলবশতঃ সাংবাদিক সুজয় সামনে পড়ার কারণে তাদের মিশন ব্যর্থ হয়েছে। যদি সাংবাদিকদের বাড়ির সামনে এধরনের অস্ত্রধারীদের উপস্থিত পরিলক্ষিত হয়। তাহলে নাগরিকদের নিরাপত্তা কোথায়।
বক্তারা অবিলম্বে ওই ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার পূর্বক আইনের আওতায় আনা এবং নাগরিক নিরাপত্তার দাবিতে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।