নিজস্ব প্রতিনিধি: লাবসা ইউনিয়ন পরিষদের বাস্তবায়িত প্রকল্পের কাজের বাস্তবচিত্র পরিদর্শন ও পরিমাপ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। লাবসা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবদুল আলিমের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের মামলার প্রেক্ষিতে তারা এ তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
সোমবার সকাল থেকে দিনব্যাপি এ তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেন দুদক সমন্বিত জেলা কার্যলয় খুলনার সহকারী পরিচালক মো. শাওন মিয়া, উপজেলা প্রকৌশলী মো. সামসুল আলমসহ নির্বাহী প্রকৌশলীবৃন্দ।
এ বিষয়ে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় খুলনার সহকারী পরিচালক মো. শাওন মিয়া বলেন, ‘লাবসা ইউপিতে বাংলা ১৪২৪ সালের হাটবাজার ইজারালদ্ধ ১৫% এবং ৪৬% প্রাপ্তির অনুকুলে বাস্তবায়িত প্রকল্পসমূহের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠে। এ ঘটনায় লাবসা ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া বাবু আদালতে মামলা করেন। আদালত বিষয়টি দুদক বরাবর প্রেরণ করে। এর ভিত্তিতে নির্বাহী প্রকৌশলীরা বাস্তবচিত্র দেখেছেন। তারা প্রতিবেদন জমা দিবেন। এরপর কাজের ইস্টিমেট এবং প্রতিবেদন দেখে আমরা তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করবো। এর আগে দুর্নীতির বিষয়ে কোন মন্তব্য করা যাবে না।
এ দিকে ওই মামলার বাদি লাবসা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া বাবু বলেন, ‘উপস্থিত দুদক কর্মকর্তা ও নির্বাহী প্রকৌশলীসহ নেতৃবৃন্দ যখন প্রকল্পগুলোর বাস্তবচিত্রগুলো দেখছিলেন তখন নেতৃত্বের সামনে লাবসা ইউপির দুর্নীতিবাজ চেয়রম্যান আব্দুল আলিম আমাদের উপর চড়াও হন এবং বিএনপির ক্ষমতায় এলে আমাদের দেখে নেওয়ার হুমকি প্রদর্শন করেন। যে কারণে হাট বাজারের ১৫% টাকার কাজের মাপ জরিপ শেষ করা সম্ভব হয়নি।’
উল্লেখ্য, এ বছরের মার্চ মাসের ৩ তারিখ আবদুল আলিম চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে হাট-বাজার উন্নয়ন প্রকল্পের ১২ লক্ষাধিক টাকা এবং ইউনিয়ন পরিষদ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য উপজেলা পরিষদ কতৃক প্রদত্ত ৩৭ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জেলা দায়রা জর্জ আদালতে মামলা করা হয়। এ মামলার বিষয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে দুর্নীতিবাজ আলিম চেয়ারম্যান তড়িঘড়ি করে এক রাতের মধ্যে বিনিরপোতা মাছ বাজারের ঢালাই কাজ সম্পন্ন করে। এছাড়াও অভিযুক্ত আলিম চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে জামায়াত-বিএনপির নাশকতার একাধিক মামলা রয়েছে। এবং তিনি ভূমিহীন নেতা সাইফুল্লাহ লস্কর হত্যার পরিকল্পনাকারী বলে মনে করেন সুধীজনেরা। লাবসা ইউনিয়নের এক সংখ্যালঘু পরিবারকে উচ্ছেদেরও অভিযোগ আছে আলিম চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। তিনি জামায়াত-বিএনপিকে সংগঠিত করে আবারো নাশকতার পরিকল্পনা করছেন। একাধিক নাশকতা মামলার আসামি হয়েও তিনি এখনো উন্মুক্ত ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
এদিকে, দুর্নীতিবাজ আলিম চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্তে কার্যক্রম পরিচালনা করায় স্থানীয়রা উচ্ছাস প্রকাশ করেছেন। এলাকাবাসী অবিলম্বে ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।