বিদেশের খবর: ভোটের দিনেও রক্তাক্ত হলো আফগানিস্তান। শনিবার ভোট শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বেশ কয়েকটি প্রদেশের ভোটকেন্দ্রে আত্মঘাতী হামলা হয়। দিনভর এ হামলায় হতাহতের সংখ্যা দাঁড়ায় ১৭০ জন। রাজধানী কাবুলের একটি ভোট কেন্দ্রে এ আত্মঘাতী হামলায় ১৫ জন নিহত হয়।
আহত ২০ জন। কুন্দুজে নিহত হয় ৩ জন, আহত ৩৯। পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশের নানগড়েও ৮টি বিস্ফোরণ শোনা যায়। সেখানে নিহত ২, আহত ৫। এসব কারণে ভোটের দিন আরও একদিন বড়ানো হয়েছে। কিছু প্রদেশে আজও ভোটগ্রহণ চলবে। ১০ নভেম্বর প্রাথমিক ফল প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন। প্রায় ১৭ বছর পর নিরাপত্তা ও তালেবানদের হুমকির মুখেই শেষপর্যন্ত আফগানিস্তানে সংসদীয় নির্বাচনে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হল।
এবারের নির্বাচনে ২৫০টি আসনের জন্য অনেক নারীসহ ২৫০০ জনেরও বেশি ভোট প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বেশিরভাগ ভোট প্রার্থীই তরুণ ও শিক্ষিত। সংঘাতময় দেশটিতে পরিবর্তন আনার বার্তা দিয়েছেন তারা। বেশিরভাগ আফগাই মনে করেন সব রাজনীতিবিদই দুর্নীতিগ্রস্ত ও অকার্যকর।
ভোট গ্রহণ শুরুর পরে নিরাপত্তার কারণে ৩০ শতাংশ এরও বেশি ভোট কেন্দ্র বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ভোটের আগে আগে নির্বাচনী প্রচারণার সময়েই প্রাণ হারিয়েছে ১০ জন। তবে কান্দাহার প্রদেশের পুলিশ প্রধানের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সেখানে ভোটগ্রহণ এক সপ্তাহ পেছান হয়েছে। দেহরক্ষীর গুলিতে নিহত হন পুলিশ প্রধান জেনারেল আবদুল রাজিক।
নির্বাচনকে সামনে রেখে নব্বই লাখ ভোটারের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সেখানকার সময় সকাল ৭টার দিকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। ৭০০০টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে নিরাপত্তার সংশয়ের মধ্যেই খোলা ছিল ৫০০০ ভোট কেন্দ্র। তালেবান জঙ্গিরা এই ভোটকে ‘মিথ্যা’ নির্বাচন অ্যাখ্যা দিয়ে বয়কট করতে বলেছে সবাইকে। আইএসও এ বিষয়ে তাদের অনুসরণ করেছে। ভোটকে কেন্দ্র করে অন্তত ৫৪ হাজার নিরাপত্তাকর্মীকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
আফগানিস্তানে রক্তাক্ত নির্বাচন হতাহত ১৭০
পূর্ববর্তী পোস্ট