অনলাইন ডেস্ক: রূপচর্চায় তো গোলাপের পাপড়ি নিশ্চয়ই ব্যবহার করেছেন। গোলাপের চা খেয়ে দেখেছেন কখনও? নিজের গাছে ফোটা গোলাপফুল গুলোর পাপড়ি ঝরে গেলে, সেগুলো ফেলে না দিয়ে চা তৈরির জন্য রেখে দিতে পারেন।
নিয়মিত গোলাপ চা পান করলে ত্বক ও চুল সুন্দর থাকে।ওজন কমাতেও গোলাপ চা খুব উপকারী। এছাড়াও আছে আরও অনেক উপকার।
ফোলা ভাব কমায়: গোলাপের চায়ে আছে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি গুনাগুণ। শরীরের ফোলা ভাব কমিয়ে ফেলতে সহায়তা করে এই চা।
হজমে সহায়ক: প্রতিদিন দুই কাপ গোলাপ চা পান করলে ডায়রিয়া কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে সেটা দূর হয়। এছাড়াও গ্যাসের সমস্যা কমায় এই চা।
ডিটক্সিফাই: গোলাপ চা শরীরকে ডিটক্সিফাই করে। নিয়মিত এই চা পান করলে শরীরের ক্ষতিকর উপাদান বের হয়ে যায়। এছাড়াও যাদের ইউরিন ইনফেকশনের সমস্যা আছে তাদের জন্যও গোলাপ চা খুব উপকারী।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: গোলাপ চায়ে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে। ফলে নিয়মিত এই চা পান করলে নানা ধরণের ইনফেকশনের ঝুঁকি কমে যায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
সতেজ রাখে: গোলাপ চায়ের দারুণ মিষ্টি গন্ধে মানসিক চাপ কমে হয় এবং মন ভালো থাকে।
যেভাবে তৈরি করবেন গোলাপ চা: গোলাপ চা তৈরির জন্য যে পাপড়ি বেছে নেয়া হবে তা যেন অবশ্যই কীটনাশক মুক্ত হয়। নিজের গাছের গোলাপ হলে নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারবেন। আর যদি কেনা গোলাপ হয় তাহলে বাইরের দিকের পাপড়ি ব্যবহার না করে একদম ভেতরের পাপড়ি ব্যবহার করুন। ব্যবহারের আগে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। তাজা ও শুকনো পাপড়ি দিয়ে চা তৈরি করা যায়। গোলাপের তাজা পাপড়ি পরিষ্কার করে রোদে শুকিয়ে বয়ামে ভরে রেখে দিতে পারেন।
যা লাগবে: ১/২ কাপ গোলাপের পাপড়ি, ২ কাপ পানি, ১ টেবিল চামচ মধু
প্রস্তুত প্রণালি: গোলাপের পাপড়ি ফুটন্ত পানিতে দিয়ে জ্বাল দিন। দুই কাপ পানি কমে এক কাপ হলে নামিয়ে ফেলুন। স্বাদের জন্য এক টেবিল চামচ মধু দিতে পারেন।