খেলার খবর: আইসিসির ওয়ানডে র্যাঙ্কিং পদ্ধতি বাতি হয়ে নতুন পদ্ধতি চালু হচ্ছে ২০২০ সাল থেকে। বর্তমানে আইসিসির ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ দলের অবস্থান ৭ নম্বরে। যে কারণে আগামী বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশ দল। কিন্তু এই র্যাঙ্কিং পদ্ধতি বেশি দিন থাকছে না। তাই র্যাঙ্কিং নিয়ে কিছুটা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নাজমুল হাসান পাপন।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপের পর র্যাঙ্কিং শূন্য থেকেই শুরু হবে। মানে এখন যে র্যাঙ্কিং আছে সেটি আর থাকছে না। কিন্তু প্রথম থেকে শুরু হবে। তার মানে ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত যারা থাকবে তাঁদের র্যাঙ্কিং নতুন করে শুরু হবে। এই বিষয়টি অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং হবে আমাদের জন্য। বিষয়টি হচ্ছে কি এতদিন তো আমরা নিচে ছিলাম। মাত্রই যখন একটু উপরে উঠলাম তখনই আইন পরিবর্তন! সুতরাং অবশ্যই এটি আমাদের জন্য একটি অনেক বড় চ্যালেঞ্জ।’
২০২০ সালে নতুন র্যাঙ্কিং পদ্ধতি চালু হওয়ার পর র্যাঙ্কিং ধরে রাখার জন্য ভাল খেলা ছাড়া আর কোন উপায় দেখছেন না বিসিবি সভাপতি।
তাইতো তিনি বলেন, ‘এখন আমরা বেশ ভাল অবস্থানে আছি। আমাদের নিচে নামার সম্ভাবনা অনেক কম। বিশেষ করে আটের নিচে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম। কারণ পয়েন্টের পার্থক্য অনেক বেশি। এটি একটি সুবিধা ছিল যে কিছুদিন আরামে থাকতে পারতাম চার পাঁচ বছরের মত কিন্তু সেটি হচ্ছে না। এখন আবার কষ্ট করে ধরে রাখতে হবে, ভাল খেলতে হবে, এছাড়া আর কোন উপায় নেই।’
আইসিসির বর্তমান নিয়ম বাতিল হয়ে নতুন নিয়ম চালু হবে ২০২০ সাল থেকে। সে অনুযায়ী ২০২০ সাল থেকে ১৩ দল হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে একে অপরের বিপক্ষে সিরিজ খেলবে। ১৩ টি দলের মধ্যে ১২টি দলই টেস্ট স্ট্যাটাস পেয়েছে।
২০২০ সালে নতুন নিয়ম চালুর পর থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দলগুলো ১৫৬ টি ম্যাচ খেলবে। প্রত্যেক দল খেলার সুযোগ পাবে ২৪ টি করে ম্যাচ। আর এখান থেকে শীর্ষ ৮ দল খেলবে সরাসরি আগামী ২০২৩ বিশ্বকাপে। বাকিদেরকে বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব খেলে আসতে হবে।
ওয়ানডে স্ট্যাটাস পাওয়া ১৩টি দল হল- ভারত, বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আফগানিস্তান, জিম্বাবুয়ে, আয়ারল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডস।