ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লক্ষ্যে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স তেমনটা ভালো হয়নি। তাদের বিপক্ষে দাপটের সঙ্গে খেলেছে নিউজিল্যান্ড। ২৩৭ রানের লক্ষ্যে নেমে কেন উইলিয়ামসন ও নেইল ব্রুমের হাফসেঞ্চুরিতে ভালোভাবেই এগিয়ে গেছে স্বাগতিকরা। ৪১.২ ওভারে মাত্র ২ উইকেটে লক্ষ্যে পৌঁছায় ব্ল্যাক ক্যাপরা। ৮ উইকেটে ম্যাচটি জিতে ৩-০ ব্যবধানে বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করল নিউজিল্যান্ড।
ইনিংসের শুরুতেই মুস্তাফিজুর রহমানের পেসে প্রথম উইকেট পায় বাংলাদেশ। নিজের প্রথম ওভারে ওপেনার টম ল্যাথামকে (৪) এলবিডব্লিউ করে ফেরান বাঁহাতি পেসার। পরের ওভারে মার্টিন গাপটিলও ২২ গজ ছাড়েন। তবে আউট হননি তিনি। রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন কিউই ওপেনার।
এরপর মাঠে নামেন ব্রুম। সঙ্গে উইলিয়ামসন। তাদের শতাধিক রানের জুটিতে জয়ের সুবাস পেতে থাকে নিউজিল্যান্ড।
তবে নুরুল হাসান ও ইমরুল কায়েসের ভুল বোঝাবুঝিতে ক্যাচ হলে ব্রুম তার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি পেতেন না। শুরুতেই মুস্তাফিজের একটি ডেলিভারি তার ব্যাটে লেগে পেছনে চলে যায়। সেখানে নুরুল ও ইমরুল দুজনেই বল লুফে নিতে লাফিয়ে পড়েন। বল ধরতে ব্যর্থ হলে জীবন পান ব্রুম। ৬৬ বলে ৫০ করেন তিনি। আর উইলিয়ামসন ৫৬ বলে করেন ক্যারিয়ারের ২৭তম ফিফটি।
ব্রুম-উইলিয়ামসন দ্বিতীয় উইকেটে দেশের রেকর্ড জুটি গড়েন। তাদের জুটিতেই নিউজিল্যান্ড জয়ের বন্দরে পৌঁছার স্বপ্ন দেখছিল। আর টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগাচ্ছিলেন ব্রুম। কিন্তু মুস্তাফিজ সেটা হতে দেননি। ব্রুমকে ৯৭ রানে মাশরাফির ক্যাচ বানান তিনি। ভাঙে ১৭৯ রানের জুটি।
তাতে খুব বেশি সমস্যা হয়নি নিউজিল্যান্ডের। ১৯৫ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারানো দলটি উইলিয়ামসনের অপরাজিত ৯৫ রানের সুবাদে সহজ জয় পায়। অপর প্রান্তে জিমি নিশাম অপরাজিত ছিলেন ২৮ রানে।
এর আগে তামিম ইকবালের হাফসেঞ্চুরির পর নুরুল ও ইমরুল দুজনেই ৪৪ রান করেন। অন্য ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ২৩৬ রান করে বাংলাদেশ।