অনলাইন ডেস্ক: আসন্ন নির্বাচনে কেউ দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে কাজ করলে তাকে তাৎক্ষণিকভাবে আওয়ামী লীগ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হবে। অতীতের মতো এবার আর ছাড় দেবে না দলটি।
আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদ এবং আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের (পার্লামেন্টারি পার্টি) এর যৌথ সভায় দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে নেতাকর্মীদের সর্তক করেন বলে বৈঠক সূত্র জানায়। শুক্রবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় গণভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সূত্র জানায়, সভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, আগামী নির্বাচনে দল যাকে মনোনয়ন দেবে, সবাইকে তার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, অতীতে অনেকে অনাকাঙ্ক্ষিত বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছে, দলের শৃঙ্খলার বাইরে গিয়ে কাজ করেছে। পরে নানা কারণে তাদের নমনীয় দৃষ্টিতে দেখা হয়েছে। কিন্তু এবার আর কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। কেউ দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হলে বা দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে কাজ করলে তাৎক্ষণিকভাবে সারাজীবনের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। দলে তারা স্থান পাবে না।
যাদের জনপ্রিয়তা আছে তারাই আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন পাবে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, দল যাকে মনোনয়ন দেবে তার পক্ষে কাজ করতে হবে। যে মনোনয়ন পাবে না তাকেও যে মনোনয়ন পাবে তার পক্ষে কাজ করতে হবে। কারণ দলকে ক্ষমতায় আসতে হলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে বিজয়ী হতে হবে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, দল যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে সম্মান পাবে। মানুষ সালাম দেবে। আর যদি দল ক্ষমতায় আসতে না পারে তাহলে অনেককেই সমস্যায় পড়তে হবে। এটা মনে রাখতে হবে।
বৈঠক সূত্র আরো জানায়, সভায় শেখ হাসিনা জামায়াত আর হেফাজতকে এক করে না দেখতেও নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেন।
জামায়াত-হেফাজত এক না
নেতাকর্মীদের তিনি বলেন, জামায়াত এবং হেফাজতকে এক করে দেখবেন না, বক্তব্য দেবেন না। জামায়াত আর হেফাজত এক না। জামায়াত স্বাধীনতা বিরোধী কিন্তু হেফাজত স্বাধীনতা বিরোধী না।
এ সময় ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিমকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ১৪ দলের নেতাদের বলে দেবেন তারা যেন জামায়াত আর হেফাজতকে এক করে না ফেলেন।