দেশের খবর: বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দেশে একটি সার্বিক ঐক্য চেয়েছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। তবে তার বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থান কী হবে- তা জানাতে সবাইকে আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে অনুরোধ জানান তিনি।
বুধবার মতিঝিলে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী এসব কথা বলেন।
তিনি জানান, আগামী ৩ ডিসেম্বর জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করেছেন। এই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিশিষ্ট আইনজীবী ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। আলোচনা সভায় সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীকেও আমন্ত্রণ জানানো হবে। এই সভা থেকে তিনি তার রাজনৈতিক অবস্থানও পরিষ্কার করবেন।
প্রধানমন্ত্রীর সংলাপের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে কাদের সিদ্দিকী বলেন, এটি একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। সংলাপের মতো ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত ও সাহসী পদক্ষেপ বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা বলেই নিতে পেরেছেন।
তিনি বলেন, এই সংলাপের জন্য ফুটপাতে ৬৪ দিন কাটাতে হয়েছে। ৩০৮ দিন আমাকে ঘরের বাইরে থাকতে হয়েছে। রাজনীতিতে শেষ কথা বলতে কিছু নেই- মন্তব্য করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, রাজনীতি করতে হলে চাড়াল-মুচি তাদের সঙ্গেও আলোচনায় বসতে হয়। যাদের কাছ থেকে আজকে পোড়াগন্ধ আসছে তার সঙ্গেও আলোচনা করতে হয় এবং শেখ হাসিনা সেই কাজটিই করে মহত্বের পরিচয় দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘দেশে একটি সম্মানজনক রাজনৈতিক সমাজ চাই, আজকে শ্রমিকের মুখে কালি মাখা হলো। এই কালি শ্রমিকের মুখে মাখা হয়নি, এটা আসলে দেশ ও জাতির মুখে মাখা হয়েছে’।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, সরকার সংলাপের আহ্বান জানালে বিষয়টি তারা বিবেচনা করে দেখবেন।
তিন বলেন, প্রতি মুহূর্তে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হচ্ছে। সংলাপ ডাকার আগে দেশে অস্থিরতা ছিল। এখন তা অনেকটাই কেটে গেছে। এই উদ্যোগ এবং পদক্ষেপ মাইলফলক হিসেবে বাংলাদেশের ইতিহাসে লেখা থাকবে।
অবস্থান স্পষ্ট করতে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত সময় নিলেন কাদের সিদ্দিকী
পূর্ববর্তী পোস্ট