দেশের খবর: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অর্থবহ হবে এবং এর মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
তিনি বলেন, ভোটাধিকার প্রয়োগ জনগণের একটি গণতান্ত্রিক অধিকার এবং আগামী নির্বাচনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে তারা এটি প্রয়োগ করবে।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট এবং জাতীয় পার্টির নেতৃত্বাধীন ‘ইউনাইটেড ন্যাশনাল এলায়েন্স’ (ইউএনএ) এর মধ্যে অনুষ্ঠিত সংলাপের সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, একটি অর্থবহ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।
গত ১০ বছরে দেশের ব্যাপক উন্নয়নের বিষয়টি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নের পথে সরকারের অগ্রযাত্রায় জাতীয় পার্টি পাশে ছিল।
তিনি বলেন, এ দলটির সহযোগিতার জন্য আমরা তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।
দেশের উন্নয়নই তাঁর (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) লক্ষ্য একথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা তাঁর সরকারের শুরু করা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের উন্নয়নে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে একটি স্বল্পোন্নত দেশে পরিণত করেন এবং তাঁর পদক্ষেপ অনুস্মরণ করে আমরা বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করেছি।
গণভবনের ব্যাঙ্কুয়েট হলে সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে দুই জোটের মধ্যে এই সংলাপ শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সংলাপে ১৪ দলীয় জোটের ২৩ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
অন্যদিকে, ‘ইউনাইটেড ন্যাশনাল এলায়েন্স’ (ইউএনএ)-এর ৩৩ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন জোটের ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন ব্যাঙ্কুয়েট হলে প্রবেশ করেন তখন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ এবং সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ তাঁকে শুভেচ্ছা জানান।