স্বাস্থ্য কণিকা: খাবারের বিভিন্ন স্বাদ ও গন্ধের জন্যই আমরা মশলা ব্যবহার করে থাকি। আমরা কি কখনো ভেবে দেখেছি এই মসলা কি শুধু স্বাদ আর গন্ধের জন্যই ব্যবহার করে থাকি? এর অন্য কোনো গুণ নেই? অবশ্যই আছে। আমরা জানি বা না জানি এই মশলাগুলো কিন্তু বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে আমাদের অনেক উপকার করে থাকে। এমনকি বিভিন্ন ক্যান্সারও রোধ করে থাকে।
রসুন: রসুন হলো একটি ঝাঁঝালো মশলা। রসুন ভেষজ ওষুধ হিসাবে ব্যবহৃত। রসুন রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং হার্টের সমস্যা সমাধানের জন্য উপকারী মশলা। এছাড়াও রসুনে আছে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল, এন্টি-ভাইরাল, এন্টি ফাংগাল উপাদান।
ধনিয়া: ধনিয়া একটি সুগন্ধি ঔষধি গাছ। ধনিয়া পাতা ও বীজ- এই দুইভাবে সাধারণত এটা খাওয়া হয়। তবে মাংস রান্নায় সাধারণত ধনিয়া বীজের গুড়া খাওয়ার প্রচলণ আছে। রান্না ছাড়াও ধনিয়ার বীজের তেল সুগন্ধিতে, ওষুধে এবং মদে ব্যবহার করা হয়।
কাঁচা মরিচ ও ক্যাপসিকাম: এই ঝাল স্বাদের খাদ্যে অ্যান্টি-ক্যান্সার উপাদান রয়েছে। তবে অতিমাত্রায়া ঝাল খেতে মানা করেন চিকিৎসকরা। ক্যাপসিকামের উপাদান লিউকোমিয়া টিউমারের কোষকে বাড়তে দেয় না।
আদা: এই ঝাঁঝালো স্বাদের খাদ্য উপাদানটি দেহে ক্ষতিকারক কোলেস্টরেলের কমায় এবং বিপাক ক্রিয়া ত্বরান্বিত করে। যেকোনো খাবারের স্বাদ বাড়ায় আদা। সেই সঙ্গে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এর উপাদান।
ওরেগানো: পিৎজা বা পাস্তার স্বাদ বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে প্রোস্টেট ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কাজ করে ওরেগানো। মাত্র এক কাপ ওরেগানোতে সাইটো-কেমিক্যাল ‘কোয়ারসেটিন’ রয়েছে যা ক্যান্সার ঘটায় এমন রোগ প্রতিরোধে কাজ করে।
দারুচিনি: মাত্র অর্ধেক চা চামচ দারুচিনির গুঁড়া খেলে আপনি পুরোপুরু ক্যান্সারমুক্ত থাকবেন। এটি টিউমার বাড়তে বাধা দেয়।
জিরা: এটি হজমে ব্যাপক সহয়তা করে। যার কারণে পেট পুরে খাওয়ার পর অনেকেই এক চিমটি জিরা চিবাতে থাকেন। জিরায় ‘থাইমোকুইনন’ নামের উপাদান রয়েছে যা প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিহত করে।
জাফরান: এতে রয়েছে প্রাকৃতিক ক্যারোটেনয়েড ডিকার্বোক্সাইলিক এসিড রয়েছে যার নাম ‘ক্রোসেটিন’। এটি ক্যান্সার প্রতিরোধে ভালো একটি উপাদান। এই জাফরান বা সাফরন ক্যান্সার টিউমারের আকারকে প্রায় অর্ধেকে করে দিতে পারে অল্প সময়ের মধ্যে।
হলুদ: হলুদের গুঁড়াকে মসলার রাজা বল যেতে পারে। একটি শুধু স্বাদই বাড়ায় তা নয়, এটি পলিফেনল উপাদান প্রোস্টেট ক্যান্সার, মেলানোমা, স্তন ক্যান্সার, ব্রেইন টিউমার, লিউকোমিয়ার বিরুদ্ধে দারুণ কার্যকর