দেশের খবর: সুপার নিউমারারিসহ (সংখ্যাতিরিক্ত পদ সৃষ্টি) পুলিশের ২৩৫ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৫ জন নিয়মিত এবং ২৩০ জন সুপার নিউমারারি পদোন্নতি পেয়েছেন। বুধবার (৭ নভেম্বর) রাতে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এর আগে, গত ৪ জুলাই পুলিশ সদর দফতর থেকে পুলিশের ৪৯৫ কর্মকর্তাকে সুপার নিউমারারি পদোন্নতি দেওয়ার প্রস্তাব করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। পুলিশ সদর দফতরের অ্যাডিশনাল ডিআইজি (ওঅ্যান্ডএম) এস এম আখতারুজ্জামান স্বাক্ষরিত ওই চিঠি যাচাই-বাছাই শেষে ২৩০ জনের অনুমোদন দেওয়া হয়।
পুলিশ সদর দফতর থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়- বাংলাদেশ পুলিশ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান, যা রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও জনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করে। ক্যাডার সার্ভিসে বিসিএস প্রশাসন একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং কেন্দ্রীয় ক্যাডার হিসেবে বিবেচিত। প্রশাসন ক্যাডারের সঙ্গে পুলিশ ক্যাডারের সম্পর্ক ঐতিহ্যগতভাবে খুবই ঘনিষ্ঠ। দুটি বিভাগই সরকারের মাঠপর্যায়ে প্রতিনিধিত্ব করে। প্রশাসন ক্যাডারের সঙ্গে পুলিশের সাংগঠনিক কাঠামোর তুলনা করলে পুলিশ ক্যাডারের তদারকি পর্যায়ে পদের অপ্রতুলতা খুব সহজে দৃষ্টিগোচর হয়।
চিঠিতে প্রশাসন এবং পুলিশ ক্যাডারের সাংগঠনিক কাঠামোর তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরা হয়। প্রশাসন ছাড়াও অন্যান্য ক্যাডার, সড়ক ও জনপদ, ফরেন সার্ভিস, শুল্ক ও আবগারি, কর ইত্যাদির তুলনায়ও বাংলাদেশ পুলিশের উচ্চতর পদে ব্যাপক ঘাটতি তুলে ধরে চিঠিতে বলা হয়, প্রশাসন ক্যাডারে উপ-সচিব থেকে তদূর্ধ্ব পর্যায়ে সুপার নিউমারারি পদোন্নতি দেওয়া হয়। অন্যান্য ক্যাডারেও এই পদোন্নতি দেওয়ার রীতি রয়েছে। সেই রীতি অনুযায়ী, পুলিশ সুপার থেকে অতিরিক্ত আইজিপি পদে যোগ্য ও দক্ষ কর্মকর্তাদের সুপার নিউমারারি পদোন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা যেতে পারে।
সেই চিঠির আলোকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ পুলিশ সুপার পদে (গ্রেড-৫) সুপার নিউমারারি পদোন্নতি দেওয়ার জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠায়। প্রস্তাব যাচাই-বাছাই করে পুলিশের ২৪টি ইউনিটের সাংগঠনিক কাঠামোতে ২৩০টি পদ অস্থায়ীভাবে সৃষ্টির জন্য গত ৩১ অক্টোবর (২০১৮) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও অর্থ বিভাগ সম্মতি দেয়। এরপর বিষয়টি প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটিতে সুপারিশের জন্য উপস্থাপন করা হয়। সচিব কমিটির অনুমোদনের পর প্রধানমন্ত্রীর দফতরের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়। সেখান থেকেও এ ফাইল অনুমোদন দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।