বিদেশের খবর: আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর একটি অনুষ্ঠানে শক্তিশালী আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন আরো শতাধিক। গতকাল মঙ্গলবার শহরের একটি মিলনায়তনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা প্রখ্যাত আলেমদের অংশগ্রহণে ধর্মীয় আলোচনা অনুষ্ঠান এই ভয়াবহ হামলার শিকার হয়। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াহিদ মজরো ওই হামলায় ৫০ জন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বিপুল সংখ্যক লোক আহত হওয়ায় মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কেউ এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।
আফগান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাজিব ড্যানিশ বলেন, আত্মঘাতী বোমা বহনকারী একজন মিলনায়তনের ভেতরে ঢুকে বিস্ফোরণ ঘটায়। সেখানে ইসলামের শেষ নবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) এর জন্মদিন পালনের জন্য শত শত আলেম অংশ নেন। অনুষ্ঠানে এক হাজারের বেশি লোক উপস্থিত ছিলেন। বিস্ফোরণের পর বহু মানুষ ফ্লোরে লুটিয়ে পড়ে। রক্তে ভেসে যায় মেঝে। বাঁচার জন্য শুরু হয় হুঁড়োহুড়ি। এসময় অনেকে পদদলিত হয়ে আহত হন অনেকে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধারকারী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উদ্ধার তত্পরতা শুরু করে। এ সময় কয়েক ডজন অ্যাম্বুলেন্সে করে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেখা যায়।
স্থানীয় পুলিশ জানায়, ধর্মীয় আলোচনার বিরতিতে যখন খাবারের আয়োজন চলছি তখনই এই হামলা হয়। গত ৬ মাসের মধ্যে আফগানিস্তানে এটাই সবচে বড় হামলা। ইসলামিক স্টেট (আইএস) ও তালেবান শক্তিতে দুর্বল হয়ে পড়ার পর আফগানিস্তানে জঙ্গি হামলার ঘটনা বহুলাংশে কমে এসেছে। এসব সংগঠন আগে এধরনের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অসংখ্যবার হামলা চালিয়ে হাজার হাজার মানুষ হত্যা করেছে। ইরাক, আফগানিস্তানের কট্টোরপন্থি সুন্নি মুসলিমরা মিলাদুন্নবী পালনের বিরুদ্ধে। ২০১৪ সালে ইরাকের মসুল শহর দখল করার পর মিলাদুন্নবী পালন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল আইএস । এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মিলাদুন্নবীর অনুষ্ঠান করতে গিয়ে হামলায় তখন বহু লোক হতাহত হয়েছে। খবর বিবিসি ও ডেইলি মেইলের।