বিনেদন ডেস্ক: আত্মজীবনীতে কাজল ও শাহরুখের সঙ্গে বন্ধুত্বে ফাটল কিংবা নিজের যৌনজীবন নিয়ে কথা বলতে বলিউডের পরিচালক করণ জোহর একবিন্দুও দ্বিধায় ভোগেননি। অপ্রকাশিত আত্মজীবনী বইতে তাঁর বর্তমানের বন্ধু কারিনা কাপুরের সঙ্গে ২০০২ সালে ঘটে যাওয়া এক ঘটনার কথাও উল্লেখ করেছেন অকপটে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এমনটাই প্রকাশ করা হয়েছে। করণ জোহর তাঁর আত্মজীবনী ‘অ্যান আনস্যুটেবল বয়’-এ প্রকাশ করেছেন যে, কারিনা ও তিনি একে অন্যের সঙ্গে নয় মাসেরও বেশি সময় ধরে কথা বলেননি। ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’-এর এই পরিচালক তাঁর বইতে আরো লিখেছেন, ‘আমার প্রথম সমস্যা হয় কারিনার সঙ্গে। সে কাজ করার জন্য আমার কাছে অনেক বেশি টাকা চায় এবং এ কারণে সে সময় আমাদের মধ্যে একটু ঝামেলা হয়। কুনাল কোহলি পরিচালিত ‘মুঝসে দোস্তি কারোগি’ তখন সবেমাত্র মুক্তি পেয়েছিল। কারিনা তখন বলেছিল, আদিত্য চোপড়ার অ্যাসিস্ট্যান্ট কুনাল কোহলির কারণে ছবিটা ব্যবসায়িকভাবে সফল হয়নি। তাই করণ জোহরের অ্যাসিস্ট্যান্ট নিখিল আদভিসকেও বিশ্বাস করতে পারছি না।’৪৪ বছরের এই পরিচালক ঘটনাটি ব্যাখ্যা করে লেখেন, “‘মুঝসে দোস্তি কারোগি’ ছবিটি মুক্তির পর আমি কারিনাকে ‘কাল হো না হো’ ছবিতে কাজ করার জন্য বলেছিলাম এবং সে সময় শাহরুখকে যত টাকা দিই, ঠিক সেই পরিমাণ টাকাই সে চেয়েছিল। আমি তখন তাঁকে দুঃখিত বলেছিলাম।” কারিনার এই অতিরিক্ত অর্থ দাবির কারণে করণ জোহর খুবই কষ্ট পেয়েছিলেন। আর এ কারণেই তাঁরা কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। কেন করণ জোহর প্রীতি জিনতাকে ‘কাল হো না হো’ ছবিতে নিয়েছিলেন, সে প্রসঙ্গে তিনি লেখেন, ‘আমি খুবই কষ্ট পেয়েছিলাম। তখন আমি আলোচনার রুম থেকে বের হয়ে এসেছিলাম এবং কারিনাকে ফোন করেছিলাম। সে আমার ফোন ধরেনি। আমি বাবাকে বললাম, আমরা কারিনাকে নিচ্ছি না। আর ওর পরিবর্তে প্রীতি জিনতাকে নিয়েছি। কারিনা ও আমি প্রায় এক বছরের কাছাকাছি সময় কথা বলিনি। এই সময়টাতে আমাদের শুধু পার্টিতেই দেখা হতো। এটা খুবই বোকার মতো আচরণ ছিল। সে একটা বাচ্চা মেয়ে, সে আমার চেয়ে ১০ বছরেরও বেশি ছোট।’ করণ আরো লেখেন, “আমরা নভেম্বরে ‘কাল হো না হো’ মুক্তি দিয়েছিলাম। জুন, জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে আমরা শুটিং করেছিলাম এবং আমাকে গানের শুটিং করতে হয়েছিল, প্রোমো তৈরি করতে হয়েছিল এবং আরো অনেক কিছু। …তখন আমার বাবা নিউইয়র্কে চিকিৎসা করাচ্ছিলেন। ওই সময় কারিনা আমাকে ফোন করেছিল। তখন আগস্ট মাস। নয় মাস ধরে আমাদের মধ্যে কথা হয়নি। সে আমাকে ফোন দিয়ে বলল, আমি ইয়াশ আঙ্কেলের কথা শুনলাম। সে ফোনে খুবই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিল এবং বলল—আমি তোমাকে ভালোবাসি এবং আমি খুবই দুঃখিত যে আমি দূরে ছিলাম, চিন্তা করো না।’ বলিউডে সদ্য মা হওয়া এই অভিনেত্রী এবং এই পরিচালক একসঙ্গে বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় ছবি উপহার দিয়েছেন দর্শককে, যার মধ্যে ‘গোরি তেরে পেয়ার মেয়’, ‘বোম্বে টকিজ’, ‘উই আর ফ্যামিলি’, ‘এক ম্যায় অর এক তু’ ও ‘কুরবান’ উল্লেখযোগ্য।